মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ডব্লিউএইচও

|

ছবি: সংগৃহীত।

করোনাভাইরাসের পর বিশ্বব্যাপী নতুন আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স। আশঙ্কাজনকহারে ছড়াচ্ছে বিরল এই রোগ। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের খবর মিললেও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ আর অস্ট্রেলিয়ায় মিলছে আক্রান্ত ব্যক্তি। এবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর এনডিটিভি’র।

শুক্রবার এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচওর বৈঠকে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং এর ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্সের মূল উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। সাথে মাথা ও মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভূত হয়। ৩ দিনের ব্যবধানে শরীরে জলবসন্তের মতো ফুঁসকুড়ি দেখা দেয়। এই অবস্থায় দু’ থেকে চার সপ্তাহ অসুস্থ থাকতে পারেন রোগী। ছোঁয়াচে না হলেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স: জেনে নিন এর লক্ষণ ও উপসর্গ

পর্তুগালের স্বাস্থ্যবিদ মার্গারিদা ত্যাভেরেস বলেন, পর্তুগালে কেউ হাসপাতালে ভর্তি নন; এছাড়া অবস্থাও গুরুতর নয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশী ও মাথাব্যথার মতো প্রাথমিক উপসর্গ ছিল। পরে দেখা যায় ফুঁসকুড়ি। কয়েকজন রোগী বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা। সেটাকেই রোগ ছড়ানোর একটি সম্ভাবনা হিসেবে ধরছি।

গবেষকদের দাবি, প্রাণী থেকে মানবদেহে ছড়ায় রোগটি। তবে, এতে মৃত্যুহার কম। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও প্রয়োজনীয়তা খুব একটা নেই। ব্রিটেনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জিমি হুইটওর্থ বলেন, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী বা আফ্রিকান ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায় রোগটি। তারপরই, কোনোভাবে প্রবেশ করে মানবশরীরে। কিন্তু রোগ বিস্তারের জন্য এটা নির্ভরযোগ্য তথ্য নয়। কারণ, খুব বেশি মানুষ তাতে আক্রান্ত হন না। তাছাড়া, উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে সেটির নির্মূল সম্ভব। আফ্রিকার বাইরে যেহেতু প্রথমবার বিস্তারলাভ করছে, তাই সতর্ক থাকা ভালো।

১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য আলাদা রাখা দুইটি বানরের শরীরে দেখা যায় রোগটি। সেখান থেকেই মাঙ্কিপক্স নামের শুরু। তারপর ১৯৭০ সালে মানবদেহে প্রথম শনাক্ত হয় এর সংক্রমণ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। তবে, সর্বোচ্চ সাড়ে চারশ’ মানুষ ভুগেছেন নাইজেরিয়ায়, ২০১৭ সালে।

/এম এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply