পদ্মা সেতুর মাওয়া সংযোগ সড়কের কার্পেটিং শেষ, পুরোদমে চলছে রোড মার্কিং

|

পদ্মা সেতুতে রোড মার্কিংয়ের কাজ পরিদর্শন করছেন কর্মকর্তারা।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

পদ্মা সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিলো গত বছরের ১০ নভেম্বর। ৫মাস ১৯ দিনের মাথায় গত ২৯ এপ্রিল মূল সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার অংশে কাজ শেষ হয় কার্পেটিংয়ের। বাকি থাকে দুই পাশের সংযোগ সড়ক কাপেটিংয়ের কাজ। সময়ের সাথে সে কাজেরও অগ্রগতিও হতে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি থাকলো শুধু জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাজিরা অংশের কাজও শেষ হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাওয়া প্রান্তের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ। জাজিরা প্রান্তেও কার্পেটিংয়ের কাজও এগুচ্ছে সমানতালে। সে অংশে বাকি ৩টি জয়েন্টের কার্পেটিং। কাজ শেষ হলে মূল সেতুর পর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজও পুরোপুরি শেষ হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাপেটিংয়ের কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, সেতু জুড়ে পুরোদমে চলছে রোড মার্কিংয়ের কাজ। গত বুধবার বিকেলে সেতুর মাওয়া প্রান্তে মডিউল-২ এ শুরু হয় রোড মার্কিংয়ের কাজ। প্রথমদিনে ২শ মিটার অংশ ও গতকাল বৃহস্পতিবার মডিউল-২ এর ৭৫ভাগ অংশে মার্কিং করা হয়।

সেতুকে আলোকিত করতে বসানো ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও চলছে। প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হবে রোড মার্কিংয়ের কাজ। আর পহেলা জুনে সেতু আলোকিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগুচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। পরিকল্পনা মতো কাজ এগুলো নির্ধারিত সময় পহেলা জুনেই জ্বলে উঠবে বাতিগুলো।

প্রসঙ্গত, খরস্রোতা পদ্মা নদীর উপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ২০১৪ সালে নির্মান শুরু হওয়া সেতুটি আসন্ন জুন মাসে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী দিন রাত সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। জুনে আমাদের টার্গেট, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply