জুনের শুরুতে আলোকিত হবে পদ্মা সেতু

|

ফাইল ছবি

সত্যি হয়ে বাস্তবে ধরা দেয়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বেশিরভাগ জটিল কাজই শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে ফিনিশিং এর কাজ। পদ্মা সেতুর দুইপাড়ের সংযোগ সড়কের কার্পেটিং শেষ হচ্ছে ২-৩ দিনের মধ্যে। এরই মধ্যে শেষ মূল সেতুর কার্পেটিং। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন ল্যাম্পপোস্টগুলোতে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুত সংযোগ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুনের শুরুতে একযোগে জ্বলে উঠবে লাইটগুলো। আলোকিত হবে পুরো সেতু। পাশাপাশি পুরোদমে চলছে রোড মার্কিং এর কাজ।

দুইপাড়ের মূল সড়কের কাজ শেষে বৃহষ্পতিবার (১৯ মে) শুরু হয়েছে ৭০০ মিটার মাওয়া সাউথ ভায়াডাক্টের কার্পেটিং। জাজিরা প্রান্তের নর্থ ভায়াডাক্টের ২০০ মিটার কার্পেটিংও শুরু হতে যাচ্ছে। রোববার নাগাদ সংযোগ সড়কের কার্পেটিংও শেষ করতে চায় সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর সড়ক ঘিরেই এখন মূল ব্যস্ততা। রোড সাইন, সংকেত ও মার্কিং বসানোর কাজ চলছে পুরোদমে। ১৮ মে থেকে রোডওয়ে স্ল্যাবের পশ্চিম পাশে শুরু হয় রোড মার্কিংয়ের কাজ। এছাড়া, এ মাসের মধ্যেই সীমানা দেয়ালের ওপর স্টিলের রেলিং স্থাপনের কাজও শেষ হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর আর্কিটেকচারাল লাইটিং নিয়েও চলছে তোড়জোড়। বিভিন্ন দিবসে বৈচিত্রময় রূপ নিবে সেতু, সেই পরিকল্পনা ধরেই কার্যক্রম চলছে। ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুত সংযোগের কাজও শেষদিকে। ৩০ মে এর মধ্যে সেতুতে বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার আশা সেতু কর্তৃপক্ষের। জুনের শুরুতেই ল্যাম্পপোস্টগুলো জ্বলে উঠবে বলে আশাবাদী তারা। সে লক্ষ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতিকে।

মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক। জুনের শেষ সপ্তাহে সেতু উদ্বোধনের বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর সময় দেয়া স্বাপেক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply