রক্ষা পাচ্ছে ‘চট্টগ্রামের ফুসফুস’, বন্ধ হতে পারে হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা

|

চট্টগ্রামের সিআরবি।

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম:

অবশেষে রক্ষা পাচ্ছে ‘চট্টগ্রামের ফুসফুস’ খ্যাত সিআরবি! প্রস্তাবিত বেসরকারি হাসপাতালটি এখানকার পরিবর্তে নির্মাণ করা হতে পারে সীতাকুণ্ডের কুমিরায়। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আন্দোলনরত ‘নাগরিক সমাজ’।

সিআরবি’র প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস করে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রায় ১১ মাস ধরে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত সিআরবি’র পরিবর্তে বিকল্প স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি আন্দোলনকারীদের।

সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম সভায় আলোচিত হয় বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত সিআরবিতে না হলে সীতাকুন্ডের কুমিরায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত টিবি হাসপাতালের জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব উঠেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী জানান, আমরা হাসপাতালটির জন্য একটি বিকল্প জায়গা প্রস্তাব করেছি। আমাদের যে পরিত্যক্ত টিবি হাসপাতালটি আছে সেটি এর চেয়ে বড় জায়গা এবং আরও কেন্দ্রবিন্দুতে হবে। ফলে ওইদিকের কুমিল্লার মানুষদেরও যাতায়াতে সুবিধা হবে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এমন প্রস্তাবনায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন হাসপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা। তাকিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে। চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয় বলছেন আন্দোলনরত নাগরিক সমাজের নেতারা। হাসপাতাল না করে সিআরবিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার দাবি তাদের।

চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন বাবুলের দাবি, এখানে পাখির অভয়ারণ্য, প্রজাপতির পার্কসহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন সেগুলো এখানে প্রতিস্থাপন করে এটিকে পর্যটক নগরী বা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করতে হবে।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় সিআরবি’র ৬ একর জায়গায় ২৫০ শয্যার বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে অনুমতি দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply