পদ্মাসেতু প্রকল্পে লোপাটকৃত টাকা উদ্ধারে চলছে তৎপরতা, নাগালের বাইরে ১৪ প্রতারক

|

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

মাদারীপুরে খাস জমির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের লোপাটকৃত প্রায় ৩১ কোটি টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ জন ফেরত দিয়েছে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। বাকি ১৪ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অজানা রয়ে গেছে চক্রের হোতাদের নাম।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের শিবচর অংশে প্রায় ৪০ একর খাস জমির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়েছিল দালালচক্র। তারপর হাতিয়ে নেয়া হয় প্রায় ৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তদন্ত কমিটিতে ধরা পড়ে ভয়াবহ সেই জাালিয়াতি।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ২০টি চেকের মাধ্যমে ১৯ জনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত মতি শেখ, রমিজউদ্দিন হাওলাদার, হাকিম শেখ, রাজ্জাক মোল্লা ও শাওন তাদের আত্মসাৎকৃত প্রায় ৭ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ জানান, তিনজন সার্ভেয়ার এর সাথে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনেক ভুয়া বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির প্রধান আজহারুল ইসলাম বলেন, অনেক ক্ষেত্রে যে দলিলগুলো এখানে দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই।

বিল উত্তোলনকারীদের একজন মতি শেখ। তার নামে প্রায় ২ কোটি টাকা উত্তোলন করা হলেও পেয়েছেন মাত্র ২২ লাখ। দাবি, বাকিটা নিয়েছে দালালরা। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, আত্মসাৎ করা বাকি টাকা উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। খোঁজা হচ্ছে চক্রের হোতাদের। এর সাথে জড়িত যে প্রাক্তন মেম্বার ছিলেন ফৌজদারি মামলায় তিনি আটক আছেন। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারি নয়, কোনো জনগণও যদি এর সাথে যুক্ত হয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মাদারীপুর-১ আসনের চীফ হুইপ ও সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী।

মেগা এই প্রকল্প ঘিরে নানাভাবে হয়েছে জালিয়াতি। উত্তোলনকৃত অন্য বিলগুলোর পুনরায় তদন্তের দাবি পদ্মাপাড়ের মানুষের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply