তীব্র দাবদাহ আর পানির সঙ্কটে নাকাল দিল্লি

|

পানির তীব্র সঙ্কট আর দাবদাহে ভুগছে দিল্লি।

তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সঙ্কট। এরমধ্যে নিম্নবিত্ত এলাকাগুলোতে পানির সরবরাহ সবচেয়ে কম। প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন দিল্লির খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ অবস্থায় আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দাবদাহ অব্যাহত থাকবে আরও সপ্তাহখানেক।

বেশ কিছুদিন ধরেই তীব্র দাবদাহে নাকাল দিল্লিবাসী। প্রচন্ড গরমে রাজধানীজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সঙ্কট। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শহরটির নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী। দিল্লির আবাসিক এলাকা এবং বস্তিগুলোতে পানির সরবরাহ না থাকায় খালি রয়েছে কলপাড়গুলো। সামান্য হলেও পানি মিলছে যেখানে, সেখানেই একটু পানির জন্য ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পানির অভাবে অসহায়ত্ব আর ক্ষোভ ধরছে দিল্লির সবচেয়ে বড় বস্তি ধারাবির বাসিন্দা অর্জুন সেনের গলায়। পেশায় অটোচালক অর্জুন বলেন, গত ৭ দিন ধরে কলে কোনো পানি আসছে না। আমরা স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে নালিশ জানালেও কোনো কাজ হয়নি। একে তো গরম তার ওপর নেই পানি, খুবই কষ্টে আছি আমরা।

অর্জুনের স্ত্রী পল্লবী বলেন, ট্যাংকারে যতটুকু পানি আসে তা আমাদের বস্তির জন্য পর্যাপ্ত নয়। ফলে সঙ্কট লেগেই আছে।

গেল মার্চ থেকে দিল্লিতে চলছে দাবদাহ, ওই সময়ই তাপমাত্রা ছাড়ায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, মার্চ মাসে এতটা গরম গত ১শ বছরে এই প্রথম। সম্প্রতি তা পৌঁছেছে ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি!

গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিল্লির খেটে খাওয়া মানুষেরা। নির্মাণ শ্রমিক রানজিত বলেন, গরমে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। আবার না করেও উপায় নেই, কাজ না করলে খাবো কী!

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আমার সাথে কাজ করতে করতে একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া সম্ভব হয়নি, কারণ ডাক্তারের ফি ৫০০ রুপি। আমাদের মতো গরীব শ্রমিকদের জন্য এটা অনেক বেশি।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আশার আলো দেখাতে পারছেন না স্বয়ং আবহাওয়াবিদরাও। বলছেন, দাবদাহ চলবে আরও সপ্তাহখানেক।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply