জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রস্তাবিত জাতীয় সরকার; আছে শেখ রেহানা, জাইমার নাম

|

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান কিংবা ড. কামাল হোসেনকে রাষ্ট্রপতি এবং নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করে ‘জাতীয় সরকারের ফর্মুলা’ উপস্থাপন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রস্তাবে নারী ও যুব উন্নয়নে বিএনপি প্রতিনিধি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং মানবাধিকার ও সমাজ কল্যাণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি শেখ রেহানার নাম প্রস্তাব করেছেন ড. জাফরুল্লাহ।

সোমবার (১৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো ‘জাতির সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার’ শীর্ষক এক লেখায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।

ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাব, জাতীয় সরকার নির্বাচিত হবে গণভোটের মাধ্যমে। এর মেয়াদ হবে দুই বছর। এই সরকার হবে সর্বদলীয় এবং সর্বজন স্বীকৃত জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকারের সদস্য এবং বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যানরা ২০২৮ সাল পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাদের সকল আর্থিক তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলে প্রস্তাব করেছেন ড. জাফরুল্লাহ।

প্রস্তাবে জাতীয় সরকারের জন্য আরও কিছু নাম উল্লেখ করেছেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর মধ্যে জনসংযোগ, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসনের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস, দুর্নীতি দমনে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শহীদদের তালিকা প্রণয়নে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব:) ইকবাল করিম ভূঁইয়া প্রতিরক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রস্তাব রেখেছেন ড. জাফরুল্লাহ।

প্রস্তাবে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উল্লেখ করেন, আইন, সংসদ ও সংবিধান সংস্কারে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, মানবাধিকার ও আইন কমিশনে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থ ও দরিদ্রতা নিরসনে অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন, ব্যাংক ও মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এস এম আকরাম, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীর দায়িত্বে অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত দায়িত্বে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য থাকবেন।

এছাড়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, সাথে ওষুধ প্রশাসনের প্রধানের দায়িত্বে বিএসএমএমইউ অধ্যাপক সাইদুর রহমান খসরু এবং মেডিকেল ও প্যারামেডিকেল শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের দায়িত্বে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী, শিল্প-বাণিজ্যের দায়িত্বে শেখ বসিরুদ্দিন আকিজ, তথ্য সম্প্রচার ও মিডিয়ার দায়িত্বে শিল্পপতি ও মিডিয়া মালিক এ কে আজাদ, স্থানীয় শাসন ও প্রদেশ/স্টেট সৃষ্টি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সমাজবিজ্ঞানী ড. তোফায়েল আহমেদ প্রমুখের নাম প্রস্তাব করেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এছাড়াও নৌপথ, নৌবন্দর, আন্তর্জাতিক নদীর পানির অধিকার সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রকৌশলী ইনামুল হক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দায়িত্বে প্রকৌশলী সামসুল আলম, নগর উন্নয়ন ও যোগাযোগে স্থপতি মুবাশ্বের হোসেন। প্রবাসী অভিবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি পরিচালনায় প্রবাসী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাসনাত হোসেন, এমবিই প্রমুখের নামও প্রস্তাব করেন ড. জাফরুল্লাহ।

ধর্ম ও নৈতিকতায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পারভীন হাসান; সংস্কৃতি, যাত্রা ও মেলার প্রসারে গায়িকা শিল্পী নবনীতা চৌধুরী, পরিবেশ ও প্রাণীজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শ্রমিক কল্যাণ ও নিরাপদ সড়ক দায়িত্বে বাম জোটের প্রতিনিধি মনজুরুল আহসানের নাম এসেছে তার প্রস্তাবে।

এছাড়া, নারী ও যুব উন্নয়নে বিএনপি প্রতিনিধি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মানবাধিকার ও সমাজ কল্যাণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি শেখ রেহানা এবং খাদ্য সরবরাহ ও রেশনিংয়ে মতিয়া চৌধুরী; সঙ্গে কৃষি ও কৃষক সমবায় প্রসারে সাবেক সচিব ড. শওকত আলীর নাম প্রস্তাব করেন ড. জাফরুল্লাহ।

/এসএইচ






সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply