স্কুলের টিনের চালে উঠে খেলতে যাওয়াই কাল হলো লিমনের

|

গাইবান্ধার সাঘাটায় স্কুলের টিনের চালের সঙ্গে লেগে থাকা বিদ্যুতের তারের লিকেজে লিমন বাবু (নিরব) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। শনিবার (১৪ মে) বিকেলে টিনের চালের ওপর খেলতে উঠলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিরবের। তবে এসময় প্রাণে বেঁচে গেছে তার সঙ্গে থাকা জিসান নামে আরেক শিক্ষার্থী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘরের চালের সঙ্গে থাকা বিদ্যুতের তারে লিকেজ থাকায় আগেও কয়েকবার বিদ্যুৎপৃষ্টে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বারবার বলা সত্ত্বেও সেটি মেরামত না করায় স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।

শনিবার বিকেলে সাঘাটা উপজেলার কালপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় নিরব। স্থানীয়রা জানান, টিনের চালের ওপর খেলতে উঠলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এসময় তাকে ধরতে গেলে জিসান নামে আরেক শিক্ষার্থীও ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে লিমন বাবুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাকির মুখোমুখি হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, স্কুল ছুটির পর কীভাবে বাবু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে তা বলতে পারছেন না তিনি। এর আগে তাকে বেশ কয়েকজন বিদ্যুতায়িত হওয়ার কথা জানালেও তিনি কেন ব্যবস্থা নেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে তাকে কেউ এমন কিছু জানায়নি।

তবে যমুনার প্রতিবেদককে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীই জানিয়েছে, এর আগে প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটেছে ও তারা প্রধান শিক্ষককে সেটি জানিয়েছে। একাধিক অভিভাবকও জানালেন, প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার বেশ কয়েকজনের বিদ্যুতায়িত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় এখনও পুলিশে কোনো অভিযোগ হয়নি। পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীর পরিবার বা অন্যকেউ এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেয়নি। তারা বলছে, অনুমতিসাপেক্ষে ওই শিশুর লাশ দাফন করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রোববার দুপুর ২টা) শিশুটির লাশ দাফন করা হয়নি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply