‘বন্দি বিনিময় চুক্তি ও আইনি প্রক্রিয়ায় পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে’

|

পি কে হালদার।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে দ্বিপাক্ষিক আইন বা চুক্তি আছে, সে অনুযায়ী পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। রোববার (১৫ মে) যমুনা নিউজের কাছে তথ্যটি জানান তিনি।

দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচারকারী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে শনিবার (১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করা প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী অ্যাড. খুরশীদ আলম জানান, নাম বদল, পরিচয়পত্র জালিয়াতি, পাচারের অর্থে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন অভিযোগে ভারতের বিচারপ্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছেন পি কে হালদার। সে বিচার শেষ হতে হবে। এবং তারপরই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই প্রক্রিয়া ৩ মাসের কমে সম্পন্ন হওয়ার নজির নেই।

অ্যাড. খুরশীদ আলম আরও জানান, দু’দেশের সরকারের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে কত দ্রুত ভারতের আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলার মধ্যে ১টি বিচারাধীন। বাকি ৩টির চার্জশিট প্রায় প্রস্তুত। দেশে ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে অন্যান্য মামলার চার্জশিট দিতে পারবে দুদক। দুদকের আইনজীবী আরও জানান, বাংলাদেশে পি কে হালদারের সব মামলাই জামিনযোগ্য।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আছে ২০টিরও বেশি বিলাসবহুল বাড়ি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply