পি কে হালদারের যত আর্থিক কেলেঙ্কারি, যুক্ত ছিল পরিবারও

|

পি কে হালদার। ফাইল ছবি।

পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি করেছেন প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার। ফতুর করেছেন চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। লুটে নিয়েছেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না পি কে হালদারের। ২০০৯ সালে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হন। তারপর হন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ধীরে ধীরে তিনি দখল করেন ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি।

নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে পি কে হালদার গড়ে তোলেন প্রায় ৪০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছর ধরে সেইসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হয় মা লীলাবতী হালদারকে। ছিলেন ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। আরও ছিলেন খালাতো ভাইসহ আত্মীয়-স্বজন।

পি কে হালদার পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন। এই টাকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেন নানা কৌশলে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনে এমন অনিয়ম করেছেন পি কে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী এবং ইডি শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তদন্তে পি কে হালদারের ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, বিভিন্ন ব্যাংকে ৬ হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা কানাডা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply