উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দার ঝড়

|

পূর্ব উপকূলে হামহুংয়ের আশপাশের এলাকা থেকে স্থানীয় সময় সকালে পরপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। ব্যালিস্টিক এসব ক্ষেপণাস্ত্র মাঝারি পাল্লার। পরপর ৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় ক্ষোভ এবং নিন্দা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। বিশ্ব শক্তিগুলো বলছে, আঞ্চলিক দেশগুলোকে হুমকি দিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে পিয়ংইয়ং। আর চীন বলছে, শুধু কড়াকড়ি আরোপ করে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরানো যাবে না উত্তর কোরিয়াকে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফরের কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের আগে পিয়ংইয়ংয়ের এ ধরনের আচরণকে হুমকি হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। এ নিয়ে উত্তপ্ত নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ প্রতিনিধি বারবার উডওয়ার্ড বলছেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যা সুস্পষ্টভাবে জাতিসংঘের নীতিমালার লঙ্ঘন। পাশাপাশি এটি পুরো অঞ্চলের সবগুলো দেশের জন্যই হুমকি। এর পাশাপাশি দেশটি আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসী প্রতিনিধি নিকোলাস ডি রিভিয়েরাও বলছেন একই কথা। তিনি বলেন, ভূমি, আকাশ এবং সাগর থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। কোনোভাবে এই আগ্রাসী আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আবারও স্পষ্ট করছি সীমারেখা লঙ্ঘনের ফল ভালো হবে না।

পিয়ংইয়ংয়ের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পুরনো মিত্র বেইজিংয়েরও। তবে কড়াকড়ি আরোপ কোনো সমাধান নয় বলেও জানান জাতিসংঘে চীনা প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন। বলেন, কোরীয় উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। চীন চায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সব পক্ষ যেন সংযত আচরণ করে। কিন্তু কড়াকড়ি আরোপ করে এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। অনেক দেশই রয়েছে যারা উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বললেও নিজেরা সাবমেরিনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পরমাণু কর্মসূচি চালু রেখেছে।

প্রসঙ্গত, পরমাণু কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ততার দায়ে চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply