আট ভোজ্যতেল কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনের মামলা

|

তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। দেশের আটটি ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। বুধবার (১১ মে) প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ এবং ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী এই ৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় স্বার্থে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫(২)-এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী, উৎপাদন, সরবরাহ, বাজার, কারিগরি উন্নয়ন, বিনিয়োগ বা সেবার সংস্থানকে সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে এই আটটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। কোম্পানিগুলো হলো- সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা), মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ), বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।

কমিশন আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে- কেউ পণ্য বা সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ গুদামজাতকরণ বা অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত কোনও চুক্তিতে বা যড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আবদ্ধ হতে পারবে না। এমনটি করার মাধ্যমে বাজারে বিরূপ প্রভাব, মনোপলি বা ওলিগোপলি অবস্থা সৃষ্টি করলে, কমিশন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে পারবে।

জানা গেছে, কমিশনের অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদন ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার (১০ মে) প্রতিযোগিতা কমিশনের সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বুধবার (১১ মে) প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

কমিশনের চেয়ারম্যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুর রহমান যমুনা নিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৮ মে বুধবার সিটি এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ও বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল এবং ১৯ মে বৃহস্পতিবার শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, প্রাইম এডিবল অয়েল এবং গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেডকে শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন। শুনানির পর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনে কোনও প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হলে আগের তিন বছরে ওই প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ লেনদেন বা পণ্য বিক্রি করেছে, তার ওপর সর্বনিম্ন ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার নিয়ম আছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply