খুলনার তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই ২ লাখ ৩৬ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

|

খুলনার তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকেই ২ লাখ ৩৬ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করেছে প্রশাসন। অধিক লাভের আশায় এসব তেল গোপন গুদামে মজুত করেছিলো অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জব্দকৃত তেল তিনদিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গোপন খবর ছিল, খুলনা নগরীর বড় বাজারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে বড় বাজারের সোনালী এন্টারপ্রাইজ, সাহা ট্রেডার্স ও রণজিত বিশ্বাস এন্ড সন্সের গোডাউন থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ৭৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ১ লাখ ৬৩ হাজার লিটার পাম অয়েল। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত তেল তিনদিনের মধ্যে বিক্রিরও নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভোজ্যতেলের অবৈধ মজুতের সন্ধানে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা হয় ৩৭ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম তেল। জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কাজল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে মেলে অবৈধভাবে মজুত করা ৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল। প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। জব্দকৃত তেল বিক্রি করে দেয়া হয় ভোক্তাদের কাছে।

চট্টগ্রামের হালিশহরের ছোটপোল বাজারে ভোজ্যতেলের অবৈধ মজুত মেলায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সিলাগালা করে দেয়া হয় দোকানটি।

ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আরও কয়েকটি জেলাতেও চলে প্রশাসনের অভিযান। ভোজ্যতেলের অবৈধ মজুত ও বেশি দামে বিক্রি করা হয় জরিমানা করা হয় কয়েকজনকে।

এদিকে, নাটোরে এক জনপ্রতিনিধির গোডাউনে মিলেছে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত। বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়নের গোডাউন থেকে জব্দ করা হয় ৩ হাজার লিটার ভোজ্যতেল। তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply