ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় উত্তাল ফিলিস্তিন

|

শোক যেন পরিণতে হয়েছে শক্তিতে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ্’র মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ফিলিস্তিন। এ ঘটনাকে ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়েছে আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গণমাধ্যমকর্মী নিহতের এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।

শিরিনের কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীরাও শোকে স্তব্ধ। দাবি জানিয়েছেন, হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার।

আল জাজিরার সাংবাদিক তামির আল মিশার বলেন, এটা পরিস্কারভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ড। কারণ শিরিন প্রেস লেখা জ্যাকেট পড়া ছিলেন। তার মাথায় হেলমেট ছিল। হাতে বুম ছিল। এগুলো দেখার পরও স্নাইপার রাইফেল থেকে তাকে গুলি করা হয়।

বর্বর এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি, চীনসহ বিভিন্ন দেশ। এ ধরনের ঘটনাকে মুক্তচিন্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যান্দ্রিয়া স্যাসে বলেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাই সব ধরনের পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

অন্যদিকে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, আমরা রীতিমতো স্তম্ভিত। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর এ ধরনের হামলার সবসময়ই নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে চীন। বেইজিং আশা করছে, আইন অনুযায়ী এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, শিরিন আবু আকলেহ্‌কে হত্যা করার মূহুর্তে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ওই সাংবাদিককে উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ইসরায়েলি স্নাইপারের কারণে।

তবে, মর্মান্তিক এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে যখন চলছে নিন্দার ঝড়, তখন ফিলিস্তিনিদের উপর দায় চাপাতে তৎপর তেল আবিব।

ইসরায়েলের প্রধামন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের গুলিতেই ওই সাংবাদিক নিহত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে আমরা বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এরপরই বুঝা যাবে মুল ঘটনা কী।

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অজুহাতে ফিলিস্তানের পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply