আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার ক্ষমতা দিলো লঙ্কান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

|

ছবি: সংগৃহীত

জরুরি ক্ষমতা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনে গুলি করার আদেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ তথ্যটি জানিয়েছেন কলম্বোভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মিররকে।

সহিংসতার আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পরও কমেনি জনরোষ। সোমবার (৯ মে) কারফিউ উপেক্ষা করে হয় গণবিক্ষোভ। রাতভর চলে ক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব। রাজাপাকসে পরিবারের মালিকানাধীন জাদুঘরসহ ৬ আইনপ্রণেতার বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে তারা। সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। আহত প্রায় ২শ’। দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতার পর ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে।

জরুরি অবস্থা আর কারফিউ উপেক্ষা করেই শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে রাজপথে নামে হাজার হাজার জনতা। তিন মন্ত্রী, তিন এমপিসহ সরকার দলীয় একাধিক রাজনীতিবিদের বাড়িতে চলে হামলা। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় একাধিক বাস ও গাড়িতে। হাম্বানটোটায় রাজাপাকসে পরিবারের মালিকানাধীন একটি জাদুঘরে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ভেঙে ফেলা হয় মাহিন্দা রাজাপাকসের বাবা-মায়ের মোমের মূর্তি। করুনাগেলা শহরে আগুন ধরিয়ে দেয় রাজাপাকসের পৈত্রিক ভিটায়।

শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানায়, মঙ্গলবার (১০ মে) দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন নেতাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভরত জনতা। বাড়িঘর ধ্বংসের সাথে অগ্নিসংযোগও করেছে সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত, বৈদেশিক ঋণের বোঝা আর শূন্য রিজার্ভের জেরে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। গত কয়েকমাস ধরেই বাড়তে থাকে জনতার ক্ষোভ। এপ্রিলে জোরদার হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন, যা স্ফুলিঙ্গে পরিণত হয় গত কয়েকদিনে।

আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন রাজাপাকসে

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply