অনুমোদনহীন ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু, লক্ষাধিক টাকায় মীমাংসা করেও শেষরক্ষা হলো না

|

ফাইল ছবি।

নড়াইলের একটি অনুমোদনবিহীন ক্লিনিকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিষয়টির মীমাংসা করে। তবে ঘটনা জানাজানির পর পরিদর্শন করে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

নড়াইলের কালিয়ায় খান রওশন আলী ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে অন্তঃসত্ত্বা শিউলী বেগম মারা যান শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে প্রথমে জড়িতদের বিচারের দাবি জানায় স্বজনরা। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই পাল্টে যায় চিত্র। ঐ দিন বিকেলেই গ্রাম্য সালিশে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে সাড়ে তিন লাখ টাকায় ঘটনার বিবরণ বদলে বিষয়টি মীমাংসা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষরও করেন তারা।

পরিবারের পক্ষ থেকে মীমাংসার একটি অঙ্গীকার নামা জমা দেয়া হয় নড়াগাতি থানায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় শিউলি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয় অঙ্গীকার নামায়। যদিও বিষয়টি এড়িয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত কুমার সাহা। তিনি বলেন, রোগীর পরিবার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এদিক, শনিবার ঘটনাটি জানতে পারেন সিভিল সার্জন। তার গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি পরিদর্শনের পর বন্ধ করে দেয়া হয় খান রওশন আলী ক্লিনিকটি। কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালে কোনো মানসম্মত চিকিৎসক নেই, ওটিকে (অপারেশন থিয়েটার) নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতিও নেই। এভাবে তো কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। এজন্য আমরা এই ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply