আখাউড়ায় মহসিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী মহসিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার বিকালে উপজেলার কর্নেল বাজার থেকে খলাপাড়া কবরস্থান এলাকা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে এলাকাবাসীর পাশাপাশি মহসিন সরকারের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন। কর্মসূচি থেকে দিবালোকে ছুরিকাঘাতে মহসিন সরকার হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত খুনি আরিফের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানানো হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তারা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহসিন সরকারকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আরিফ। পরে পালিয়ে দেশ ত্যাগের অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি মহসিন সরকারের হত্যাকারী আরিফের। আখাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার চারদিনে মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র খুনি আরিফকে রক্ষা করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ওইসব চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনাসহ খুনি আরিফের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, গত ২ মে ঈদুল ফিতরের আগের দিন ইফতারের পর মহসিন সরকার তার প্রবাসফেরত বন্ধু সফিক সরকারকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে আখাউড়া পৌর শহর থেকে গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় মহসিন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খলাপাড়া কবরস্থান এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত মোটরসাইকেলে থাকা মহসিন সরকারকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আরিফ। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবকসহ আরিফ পালিয়ে যায়। এ সময় আরিফের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহসিন সরকার।

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মহসিন সরকারের বাবা শহীদুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে আরিফ মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলা করেন। পরে পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে চার দিনের মধ্যে মহসিন সরকার হত্যার প্রধান আসামি আরিফকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। ব্যবসায়ী মহসিন সরকারকে হত্যার বিষয়টি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে খুনি আরিফ। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply