দুর্বল হয়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’

|

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আসানি এখন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মুখে রয়েছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এখন পর্যন্ত ঝড়টির গতিপ্রকৃতি যেভাবে আছে, তাতে বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা কম। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আসানির প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১২ তে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসানি পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ছানাউল হক মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানান, আজ সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির গতিপ্রকৃতি যা, তাতে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। সন্ধ্যার দিকে এটি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসানি কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ একটানা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার রয়েছে। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে না যেতে বলা হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply