জামালপুরে সেন্সর আইনে ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী বন্ধ করলেন জেলা প্রশাসক 

|

জামালপুরে গলুইয়ের প্রদর্শনী।

এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা গলুই। দেশজুড়ে ২৮টি হলের পাশাপাশি জামালপুরের ৩টি অডিটোরিয়ামে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছিল গলুইয়ের প্রদর্শনী। তবে জামালপুরের জেলা প্রশাসক বন্ধ করেন গলুই সিনেমার প্রদর্শনী। অনুদান নীতিমালায় সিনেমা হলের বাইরে অনুদানের সিনেমার প্রদর্শনীর অনুমতি না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন এর পেছনে  রয়েছে অন্য কোনো কারণ। 

সরকারি অনুদানের সিনেমা গলুই মুক্তি পেয়েছে ঈদের দিন। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলে গলুই। শাকিব খান এবং পূজা চেরি অভিনীত এই সিনেমা জামাণপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  শিল্পকলা একাডেমীর অনুমতিতেই চলছিলো সিনেমা হলের বাইরে গলুইয়ের এমন প্রদর্শনী। তবে এবার শত বছর পুরনো আইন দেখিয়ে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক। 

গলুই সিনেমরন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, যেহেতু জামালপুরে কোনো সিনেমা হল নেই, তাই সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে সেখানকার অডিটোরিয়ামগুলোতে সিনেমার প্রদর্শনী চালাচ্ছিলাম। আমাদের কাছে ৭ দিন প্রদর্শনীর অনুমতি থাকলেও প্রথম দিনেই ডিসি অফিস থেকে বলা হয়, শুধু ঈদের দিন প্রদর্শনী করা যাবে।

খোরশেদ আলম আরও বলেন, ১৮১৯ সালের সেন্সরশিপ আইনে বলা হয়েছে, অনুদানের সিনেমা শুধু হলে চালানো যাবে, অন্যকোথাও যাবে না। তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নিই, তাহলে যেখানে সিনেমা হলই নেই সেখানে প্রদর্শনী হবে কীভাবে? সরকার প্রতিটি উপজেলায় শিল্প কলা একাডেমির মাধ্যমে বিনোদন কেন্দ্র করে দিয়েছে। সেখানে সিনেপ্লেক্সও থাকবে। অথচ জেলা প্রশাসক কী কারণে কোন উদ্দেশ্যে আমাদের প্রদর্শনী বন্ধ করলো জানি না। এতে দর্শকদের সামনে আমরা লাঞ্ছিত হয়েছি।

সেন্সর নীতি মালা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তবে তিনি লিখিত কোনো চিঠি দেননি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতেও রাজি হননি জেলা প্রশাসন। তবে যমুনা টেলিভিশনের জামালপুর প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের পেছনে অনুদান নীতিমালার পাশাপাশি অন্য বিষয় জড়িত। এতোদিন ছুটি থাকায় অডিটোরিয়ামগুলোতে কোনো কাজ  ছিল না। এখন অডিটোরিয়ামে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। জানা যায় সেজন্যই বন্ধ করা হয়েছে গলুই এর প্রদর্শনী।  

এদিকে সিনেমা হলের দুর্দিনে সিনেমার এমন বিকল্প প্রদর্শনীকে ইতিবাচক ভাবছেন অনেকেই। তবে রয়েছে শঙ্কাও। সিনেমা হলের বাইরে সিনেমার নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু হলে শঙ্কটে পড়বে সিনেমা হল মালিকরা। তবে উৎসব উপলক্ষে সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে দর্শক আসা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক ভাবছেন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট সবাই।

এসজেড/

  

         


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply