শ্যালকের প্রেমিকাকে দুলাভাইয়ের ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেফতার ২

|

ছবি: প্রতীকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রেমের টানে কুড়িগ্রামে কচাকাটা থেকে রংপুরের বদরগঞ্জে এসে প্রেমিকের দুলাভাই কর্তৃক ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলায় শ্যালক ও দুলাভাই ২ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র উদ্ধৃত করে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার বাহেরকেদার গ্রামে। মাস চারেক আগে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই থানার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বালারহাট গ্রামের শহর আলীর পুত্র শহিদুল ইসলামের (৩২)।

ওসি জানান, মঙ্গলবার রাতে শহিদুল ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের খোর্দবাগবাড় এলাকার নালিপাড়ায় ভগ্নীপতি আরিফুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে আসে। আরিফুল ওই ছাত্রীকে তার বাসায় রাখলেও শ্যালক শহিদুলকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়। গভীর রাতে আরিফুল শহিদুলের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী জেলেপাড়ার একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি চিৎকার দিলে জেলেপাড়ার লোকজন ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং ওই শিক্ষার্থীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিধবা মাধবী রানীর বাড়িতে রাখে। বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে বদরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি কুড়িগ্রামে জানানো হলে সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থীর চাচা বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্যালক শহিদুল ও দুলাভাই আরিফুলকে গ্রেফতার করে। বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, শহিদুল ইসলাম বিবাহিত এবং তার দুইজন সন্তান রয়েছে। অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply