সরকার পতনের জন্য কোন নীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি?

|

সরকার পতনের লক্ষ্যে আলাদা প্লাটফর্মে যুগপৎ আন্দোলনের নীতিতে চলতে চায় বিএনপি। যমুনা নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারবিরোধী সব দলকে নিয়ে এখনই নির্দিষ্ট জোটের সম্ভাবনা নেই। তবে আলাদা আলাদাভাবে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে নানা প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। ২০১৮ এর নির্বাচনের আগে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই জোট ও ফ্রন্ট এখন সম্মিলিত কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা পরিবর্তন ও সরকার পতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আসছে বিএনপি। এ দাবির সঙ্গে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই একমত বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।

এবারের ঐক্য কি ফ্রন্টের মত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের ঐক্য ফ্রন্টের মত নাও হতে পারে। যেহেতু এখনও আন্দোলনের ফরম্যাট ঠিক হয়নি এবং সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি সবাই যুগপৎ আন্দোলন হিসেবেই এখন শুরু করতে চায়।

গণঅধিকার পরিষদের ইফতারে বিএনপি, আবার গণফোরামের ইফতারে জাসদের একটি অংশ যোগ দেয়ায় এ অনুষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের মেরুকরণ হয়েছে। আলোচনা আছে, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি ছোট দলের জোট গঠনের। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে বিএনপি, এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ইফতারের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের কাছাকাছি আসছে। ফলে জনগণের কাছে একটি বার্তা যাচ্ছে যে রাজনৈতিক দলগুলো সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, যারাই এই সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলন করবে, জোট করবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে আমরা তাদের সাথেই থাকবো।

নিবন্ধনহীন জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে আছে কি নেই এ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলছেন, নিজেদের করণীয় জামায়াত নিজেই ঠিক করবে। এর আগেও জামায়াত আওয়ামীলীগের সাথে আন্দোলন করেছে। জামায়াতের সাথে আমাদের আদর্শিক কোনো মিল নেই। এখন যেহেতু তাদের নিবন্ধন নেই সেহেতু তাদের করণীয় তাদেরই ঠিক করতে হবে। এছাড়া সরকারবিরোধী ঐক্যের মেরুকরণের লক্ষ্যে নানান তৎপরতা চলছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply