শিশুদের খেলনায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব

|

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বরাবরই আলোচনায় জ্যাভেলিন মিসাইল। রুশ ট্যাংক ধ্বংসে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এ এন্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রটি। সেই মিসাইলের আদলে বানানো হয়েছে শিশুদের খেলনা।

শুধু জ্যাভেলিন মিসাইলই নয়, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত অনেক সমরাস্ত্রের আকৃতিতেই খেলনা বানিয়েছে ‘কপিতসিয়া’ নামের ইউক্রেনের একটি প্রতিষ্ঠান। রুশ হামলায় ধ্বংস হওয়া ইউক্রেনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমানও শিশুদের খেলনার আকৃতিতে ফিরে এসেছে।

মূলত, শিশুদের খেলনাতেও রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। সমরাস্ত্রের আদলে তৈরি এসব খেলনার চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তাইতো প্রচলিত গাড়ি, পুতুল, প্লেন না বানিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মিসাইল, কামান কিংবা মেশিনগানের মতো আধুনিক অস্ত্রের খেলনা।

ইউক্রেনে খেলনা বানানোর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লুইদমিলা সাভিচ বলেন, মাতৃভূমিতে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার খবর আমাদের সকলকেই আহত করেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল। এ পরিস্থিতিতে কী করা যায়, সেটাই ভাবতে শুরু করি আমি। আর তখনই যুদ্ধের সরঞ্জামের আদলে খেলনা বানানোর পরিকল্পনা মাথায় আসে।

যুদ্ধ শুরুর আগে সব ধরণের খেলনা বানালেও এখন শুধুই সমরাস্ত্রের আদলে খেলনা বানাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মচারীরাও উপভোগ করছেন এ কাজ।

খেলনা বানানোর প্রতিষ্ঠানের কর্মী নাটালিয়া টারাসেঙ্কো বলেন, আমি কাজ শেষে যখন বাড়ি ফিরে আসি, তখন নানা দুশ্চিন্তা মাথায় আসে। তবে, খেলনা বানানোর সময় এই ভেবে কিছুটা হলেও আনন্দ পাই, এই খেলনাটি বর্তমান পরিস্থিতিতেও কোনো শিশুর মুখে হাসি ফোটাবে।

এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির আকৃতির খেলনা বানিয়ে আলোচনায় এসেছিল শিকাগোর একটি প্রতিষ্ঠান।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply