ভোট নয়, সমঝোতার ভিত্তিতে আসছে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

|

ভোটাভুটি নয়, সমঝোতার ভিত্তিতেই গঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব। আমলে নেয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক আর্দশ। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে অন্তত থানা পর্যায়ের কমিটি পরিচালনার যোগ্যতা থাকতে হবে। ১১ মে নির্ধারিত সম্মেলনের মাধ্যমেই ছাত্রলীগে শুরু হবে ‘শুদ্ধি অভিযান’। এমনটিই বলছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র।

নেতৃত্ব বাছাইয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রাখছে দল। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাতে অযোগ্যরা পদ না পায় সে বিষয়েও সর্তক থাকবে শীর্ষ নেতৃত্ব।

সর্বশেষ ছাত্রলীগের ২৮ তম সম্মেলনে কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন সাইফুর রহমান সোহাগ এবং জাকির হোসাইন।এরপর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা ঘটনায় ছাত্রলীগকে ঘিরে থাকা নানা বিতর্ক তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। অভ্যন্তরীন কোন্দলের পাশাপাশি সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তাদের ভূমিকাও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।

কাউন্সিল আয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নিশ্চিত করেছেন, গতবারের মতো এবার ছাত্রলীগের কমিটি ভোটাভুটিতে নয়, হবে সমঝোতার ভিত্তিতে। এজন্য দুই দিনের বদলে কাউন্সিলের ব্যপ্তিকাল কমিয়ে ১ দিন করা হচ্ছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যারা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে ‘গভীর আত্মার সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে পারে এমন নেতৃত্ব আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। অন্য আদর্শিক চিন্তাভাবনার কেউ যাতে এখানে স্থান করে নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আদর্শিক জায়গাটাকে বড় দেখা হবে। এছাড়া পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নেতৃত্বে আসতে হলে যেমন ছাত্রত্ব থাকতে হবে, তেমনি থাকতে হবে অন্ততপক্ষে থানা পর্যায়ের কমিটি পরিচালনার অভিজ্ঞতা।

নির্বাচনী বছরে এসে নতুন কমিটি গঠন করা হলে কোনো ছন্দরপতন ঘটবে কিনা- এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। একে অমূলক মনে করছেন সাবেক ও বর্তমান নেতারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply