লকডাউনে মদের পার্টি করায় বরিস জনসনকে জরিমানা

|

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী চ্যান্সেলর রিশি সুনাক। (ফাইল ছবি)

লকডাউন চলাকালীন সময়ে হোয়াইট হল ও ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে অংশগ্রহণ করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী চ্যান্সেলর রিশি সুনাককে জরিমানা করেছে লন্ডন পুলিশ। জরিমানা সংক্রান্ত নোটিশ ইতোমধ্যেই এ দুই রাজনীতিককে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, করোনা মহামারি চলাকালীন লকডাউনের মধ্যেও ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হলে দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ডেকে পার্টি আয়োজন ও সেখানে কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তাদের সাথে দেশটির আরও শীর্ষ ৫০ জন রাজনীতিককেও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ।

এর আগে, লকডাউন চলাকালীন পার্টিতে অংশগ্রহণের জন্য দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সমালোচনার মুখে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের তদন্তে দেখা যায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও তার দলের একাধিক রাজনীতিক।

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বরিস জনসনের সমালোচনা করে দেশটির বর্তমান প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির শীর্ষ নেতা স্যার কেয়ার স্ট্র্যামার বলেন, বরিস জনসন ও রিশি সুনাক একাধিকবার আইন ভেঙেছেন এবং প্রত্যেকবারই তারা ব্রিটেনের জনগণকে বলেছেন নির্জলা মিথ্যা কথা। তাদের অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত। এটা এমন এক প্রশাসন যা ব্রিটেনের সঙ্কট নিয়ে একদমই চিন্তিত না। প্রশাসন পরিচালনার যোগ্যতা তাদের মোটেই নেই, ব্রিটেন আরও ভাল প্রধানমন্ত্রী ডিজার্ভ করে।

/এসএইচ










সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply