রাজধানীতে জোড়া খুন: পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলো না কলেজছাত্রী প্রীতির

|

প্রীতির ইচ্ছা ছিল, পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। এজন্য আগামী মাসের ১ তারিখে চাকরিতে যোগ দেয়ার কথা ছিল এই তরুণীর। কিন্তু এর আগেই দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন কলেজছাত্রী প্রীতি। তাতে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার প্রীতির পরিবারের। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতার অভিব্যক্তি, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন না। কারও কাছে বিচার চান না। প্রীতির মা হোসনে আরাও জানিয়েছেন, তারা বিচার চান না। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কার কাছে বিচার চাইবো? কী চাইবো? আমার নিষ্পাপ মেয়ে রাজনীতির বলি।

নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য ছিলেন নিহত প্রীতি। তিনি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। বাবা মিরপুরে একটি কারখানায় কাজ করেন, মা সেলাইয়ের কাজ করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) ও রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি নিহত হন। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে মুন্না (২৬) নামে টিপুর গাড়িচালক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে নিহত প্রীতি একটি রিকশায় ছিলেন। পালানোর সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ফাঁকা গুলিতে সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, জোড়া খুনের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতা মিল্কি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণি বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপুকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই মামলায় তিনি পরে গ্রেফতারও হন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply