চবিতে শিক্ষক নিয়োগে টাকা দাবির ফোনালাপ ফাঁস

|

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে টাকা দাবির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে বন্দরনগরীতে। ফোনালাপে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন হিসাব বিভাগের এক কর্মচারী ও উপাচার্যের পিএস। উঠে এসেছে একটি বিভাগের সভাপতির নামও।

ফোনালাপ ফাঁসের পর ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ স্থগিত করার পাশাপাশি থানায় জিডি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমদ হোসেন নামের এক কর্মচারী প্রভাষক পদে এক নিয়োগ প্রার্থীকে ফোনে বলেন, ‘ ম্যাডাম যদি হ্যাঁ বলে, অর্ধেক পেমেন্ট দিয়ে দিতে হবে। বাকিটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পর। ম্যাডাম যদি না বলে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশেও কাজ হবে না। ১৬ লাখ দিতে হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য এভাবেই ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন হিসাব বিভাগের কর্মচারী আহমদ হোসেন।

ফাঁস হওয়া আরেক ফোনালাপে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের কথা বলেন উপাচার্যের পিএস খালেদ মিছবাহুল রবীন।
খালেদ মিছবাহুল রবীন ফোনে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রার্থীকে বলেন, ‘গতবার তোমার ভাবির জন্য চেষ্টা করছি, এটা দিই নাই বলে হয়নি, সোজা কথা। বাস্তবতা যেটা আমি তোমাকে সেটা ইঙ্গিত করলাম।’

নিয়োগ প্রার্থীর সাথে মধ্যস্থতাকারীর আরেক ফোনালাপে উঠে এসেছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও উপাচার্যের এক ভাইপোর নাম।

প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রার্থীকে তিনি বলেন, ম্যাডামের ভাইপো শাওন, তিনি মান্নান ভাইয়ের কাছে জানতে চাইছে চট্টগ্রামের কেউ লবিং করছে না। আর স্টাডিজ বিভাগের সিদ্দীকী স্যার ওয়াক্কাসকে ফোন দিয়ে রবীন স্যারের নাম্বার দিছে। রবীন বলছেন ৫ লাখ দিতে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আকতার টাকা দাবি করা দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি হাটহাজারী থানায় জিডির কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। আমার পিএসকে সরিয়ে দিয়েছি। নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্থগিত করবো। তবে নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি, যারা কোয়ালিফাই করেনি সেই দুষ্টচক্র এসব করছে।

প্রসঙ্গত, ফাঁস হওয়া এসব ফোনালাপ দু’মাস আগের। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের এক সভায় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক পদে ৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply