লবণের সাথে কী খাচ্ছি আমরা?

|

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, বাজারে বিক্রি হওয়া খাবার লবণে পাওয়া গেছে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব, যা খাবারের মাধ্যমে ঢুকছে মানব শরীরে। আনুবিক্ষণিক এই প্লাস্টিক কণা ক্যান্সার, হৃদরোগসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী। স্ক্রিনিং বা প্রাক গবেষণার পর লবণে মাইক্রো প্লস্টিকের উপস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি কয়েকটি ব্র্যান্ডের খাবারের লবণ নিয়ে গবেষণা চালান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ওই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির এফইটি বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান সৌরভ বলছেন, লবণের দ্রবিভূত অংশে অতি ক্ষুদ্র কণাগুলোর ৯০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো প্লাস্টিক, যার বড় একটি অংশই পলি এমাইড।

কারণ হিসেবে, একদিকে প্লাস্টিকের ব্যাবহার বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবকেই দুষছেন গবেষকরা।

গবেষণা দলের প্রধান ড. জি এম রবিউল ইসলাম, যিনি ফুড ইঞ্জিনিয়ারং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, যমুনা নিউজকে জানালেন, মাইক্রো প্লাস্টিক পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।

প্রায় একবছর গবেষণা শেষে গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন হলে গবেষণাটি গ্রহণযোগ্যতা পায়।স্বীকৃতিস্বরূপ গবেষকদের দেয়া হয় ‘বেস্ট স্পিকার অ্যাওয়ার্ড।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply