কোটা সংস্কার নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য

|

মাননীয় স্পিকার খুব দুঃখ লাগে যখন দেখলাম হঠাৎ কোটা সংস্কারের দাবি তুলে আন্দোলন। আন্দোলনটা কী? সমস্ত লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় বসে থাকা। রাস্তার চলাচল বন্ধ করা, এমনকি হাসপাতালে রোগী যেতে পারছে না। কর্মস্থলে মানুষ যেতে পারছে না। লেখাপড়া বন্ধ, পরীক্ষা বন্ধ, সব বন্ধ করে বসে গেছে। এবং এই যে ঘটনাটা এটা মনে হয় যেন সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়লো।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আমি গড়ে তুলেছিলাম। আজকে ইন্টারনেট ফেসবুক বা ইউটিউব যাই ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো তো আমাদেরই করা। বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা দেব, সে শিক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই শিক্ষা গঠনমূলক কাজে ব্যবহার না হয়ে এখন সেটা গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। একটা ছেলের মাথায় আঘাত লেগেছে, হঠাৎ একজন তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দিলো যে সে মারা গেছে আর সঙ্গে সঙ্গে ছেলে-মেয়ে সব বেরিয়ে গেল।

আর এই যে মেয়েরা, মাননীয় স্পিকার আমরাও ছাত্র ছিলাম। কখনো দেখি নাই রাত ১টার সময় মেয়েরা গেট ভেঙে মেয়েরা বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। শুধু একটা গুজবের ওপর। সেই ছেলে যখন বললো, আমি মরি নাই আমি বেঁচে আছি, তখন তাদের মুখটা থাকলো কোথায়। তাহলে এই স্ট্যাটাসটা কে দিলো, মিথ্যা গুজব ছড়ানো। এবং এটা কেনো দেয়া হলো? এই যে মেয়েরা বেরিয়ে এসেছে, এরপর যদি কোনো অঘটন ঘটতো তার দায়িত্ব কে নিতো? এটা কি একবার কেউ চিন্তা করেছে? আর সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা হলো ভিসির বাড়িতে আক্রমণ।

মাননীয় স্পিকার, আমরা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। বাংলাদেশের সব আন্দোলনে সেখানে আমরা গিয়েছি। সেই স্কুল থেকে, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি আন্দোলন করতে। কখনো ভিসির বাড়িতে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বা ছাত্রীরা আক্রমণ করতে পারে, ভাঙচুর করতে পারে, আর সে ভাঙচুরটা কী? ভিসির বাড়ির ছবি দেখে আমার মনে পড়ছিল, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর করেছিল, ঠিক একই কায়দায়। এমনকি সমস্ত লকার খুলে, গয়নাগাটি চুরি করা, টাকাপয়সা চুরি করা থেকে শুরু করে বাথরুমের কমোড খুলে রাখা। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেয়া। ভিসি ছেলেন, তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-স্বজন ছিল। তারা ভিসি সামনে গেছে, তার ওপর আঘাত পর্যন্ত করতে গেছে, যদিও অন্য ছেলেরা তার ওপর আঘাত করতে গেছে। ভয়ে লুকিয়ে ছিল তারা, একতলা-দোতলা সব তছনছ। সেখানে সিসি ক্যামেরা যে লাগানো ছিল, তারা ঢুকার সাথে সাথে ঐ ক্যামেরা ভেঙেছে এবং ক্যামেরার যেখানে রেকর্ডিং বক্স ছিল, ঐ রেকর্ডিং বক্সটা পর্যন্ত সরিয়ে নিয়ে গেছে। কত পরুকল্পিতভাবে এই ঘটনা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এবং যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার উপযুক্ত না। বা তারা ওখানকার ছাত্র বলে আমি মনে করি না। কারণ কোনো শিক্ষার্থী তার শিক্ষককে এভাবে অপমান করতে পারে না, এভাবে আঘাত করতে পারে না, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। সবথেকে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, এর তীব্র নিন্দা আমরা জানাই।

এটা কী ধরনের কথা? তারা দাবি করেছে… খুব ভালো কথা, আমরা তো বসে নেই। সোমবারে ক্যাবিনেট মিটিং, সেখানে বসে বিষয়টা আমরা আলোচনা করলাম, আমাদের সড়ক ও সেতু বিভাগের এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললো তাদের সাথে বসবে এবং তাদেরকে নিয়ে তাদের সাথে বসলো, সেই সাথে সাথে আমি আমাদের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, যার কাজ এটা, আমি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিলাম যে আপনি এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। এবং যাকে যাকে দরকার তাকে নিয়ে বসে এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুন ওরা যে দাবিটা করেছে এর যৌক্তিকতা কী, কতটুকু কী করা যায়? আর মন্ত্রী গেল তাদের সাথে বসলো। একটা সমঝোতা হলো যে এটা তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে যে কীভাবে কী করা যায়? এখানে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, জনপ্রশাসন সচিব থেকে শুরু করে আরো সংশ্লিষ্ট যারা তারাই বসবেন এবং আমাদের কেবিনেটের বিষয়টা প্রেসে তিনি বলেন, তখন এ কথাটা বলেও দিলেন যে এই নির্দেশটা আমরা দিয়েছি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য। অনেকে মেনে নিলো অনেকে মানলো না, সারারাত বেশ অনেকজন ছাত্রছাত্রী, তারা টিএসসি পর্যন্ত ওখানে থেকে গেল। কেনো?

যখন একটা আলোচনা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, তখন তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে? আর ভিসির বাড়ি ভাঙা, রাস্তায় আগুন দেয়া, এমনকি পহেলা বৈশাখ-চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে অনেককিছু তৈরি করা হয়, মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, যে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাকে ইউনেস্কো বৈশ্বিক স্বীকৃতি দিয়েছি, সেই জিনিসগুলো পুড়িয়ে-টুড়িয়ে, ভেঙেচুরে সব তছনছ। এটা কী ধরনের কথা? ছাত্ররা এরকম ধ্বংসাত্মক কাজ করবে কেনো? আর মেয়েরা যে হল থেকে বেরিয়ে বেরিয়ে চলে আসলো, এই গভীর রাতে এবং মাননীয় স্পিকার, আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি, আমি বারবার ফোন করেছি, আমি সাথে সাথে নানককে পাঠয়েছি, সে ওখানে গেল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিসহ, ওদেরকে কথা বললো, প্রেসকে বললো, ওটা নিয়ে দেখছি, তোমরা এভাবে ভাঙচুর করো না, আগুন দিও না, রাস্তায় রাস্তায় আগুন দাও, এটা কী? তাদের বলা হলো, আলোচনা করলো এবং প্রেসে বলে দিলো, তাদেরকে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হলো, তারপরও তারা কোনো কিছুই মানবে না, এবং তারা আন্দোলন চালিয়েছে, এবং সরকারি-বেসরকারি এমনকি ঢাকার বাইরে সব রাস্তায় নেমে গেছে। কী? কোটা সংস্কার।

এটা কিন্তু একবার না, এ ধরনের কোটা সংস্কারের দাবি আরও অনেকে এসেছে। এবং বারবার এটাকে সংস্কার এটাসেটা করা হয়েছে।
মাননীয় স্পিকার, আমরা কতগুলো নীতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। আমাদের ছেলেমেয়ে, এরা যারা অনেকে আমার নাতির বয়সী, তাদের কিসে মঙ্গল হবে না হবে আমরা তা কিছুই বুঝি না? তাদের কী ভালো হবে আমরা তাই জানি না? ১৯৭২ সাল থেকে কোটা পদ্ধতি চলছে, সময় সময় সংস্কার করা হয়েছে, কোটা যাই থাক, যখন যে কোটা পূরণ না হয়, আমরা যে তালিকা থাকে সেখান থেকে তাদের চাকরি দিয়ে দেই।

তাদের দাবি নামায় কিন্তু এটাও বলা আছে একটা দাবিতে যেখানে কোটায় পাওয়া যাবে না সেখানে মেধা তালিকা থেকে দেয়া হবে। ওটাতো আমরা বহু আগে থেকেই আমরা কার্যকর করে ফেলেছি। তারা কি এটাও জানে না?

এমনকি আমরা দুঃখ লাগে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও অন্যান্য বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রফেসরর তারাও আবার এ সুরে কথা বলছে। তারা দেখেনই নাই যে আমরা ইতোমধ্যেই কিন্তু মেধা তালিকায় নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছি। নিয়োগ যদি না দিতাম তাহলে ৭৭ বা ৭০ ভাগ নিয়োগ তারা কিভাবে পেতো। আর যারা কোটায় পাচ্ছে তারাওতো মেধাবী। সেখানেতো মেধা থেকেইতো দেয়া হচ্ছে। ঐ কোটার মধ্যে যারা মেধাবী সেই মেধাবী যদি ধরি তাহলেতো দেখা যায় শতভাগ মেধাবী পাচ্ছে। তারপরেও আন্দোলন। তা ঠিক আছে। আজকে সকালে যখন আমার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি, সেক্রেটারি আসলো বললো আমরা তিনদিন ধরে ঘুমাতে পারছি না। তাছাড়া এই চৈত্রের রোদের মধ্যে এই্ ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তায় বসে আছে। এই রৌদ্রে বসে থেকেতো সবগুলির অসুখবিসুখওতো হবে। তারপর রাস্তা বন্ধ করে রাখছে। এমনেই তীব্র যানজট। রোগী যেতে পারছেনা হাসপাতালে, হয়তো গাড়িতেই মারা যাচ্ছে। কেউ অফিসে যেতে পারে না, কাজকর্ম করতে পারছেনা। সমস্ত জায়গায় এ ধরনের একটা অবস্থা। এবং জেলায় কোটা আছে, কিন্তু সেই জেলায় জেলায় যে বিশ্ববিদ্যালয় সেখানেও রাস্তায় নেমে গেছে। তারা যখন নেমে গেছে। যখন জেলায় যারা তারাও চায় না। এরাও চায় না কেউই চায় না। মাননীয় স্পিকার, কোন কোটাই থাকবে না। কোন কোটারই দরকার নাই। কোটাটোটার দরকার নাই। ঠিক আছে যেভাবে বিসিএস পরীক্ষা হবে। মেধার মাধ্যেমে সব নিয়োগ হবে। এতেতো কারও আপত্তি থাকার কথা না।

আমরা কোন শ্রেণি যে বঞ্চিত না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই। আমাদের সংবিধানে আছে অনগ্রসর যারা তারা যেনো বঞ্চিত না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের জন্য একটা কোটা। আমাদের মহিলারা। আগে মহিলাদের কি অবস্থা ছিলো? আমি যখন ৯৬ সালে সরকারের এসেছি। তখন কি একটা মহিলা সচিব ছিলো? কোন মহিলা সরকারের উচ্চপদে চাকরি পেতো। পুলিশের কোন পদে চাকরি পেতো? একজন মহিলাও কি হাইকোর্টের জজ ছিলো কোথাও কেউ ছিলো না।

এমনকি পাকিস্তান আমলে জুডিশিয়াল সার্ভিসে মহিলারা ঢুকতে পারবে না। এই আইন ছিলো। যা স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই আইন পরিবর্তন করে দেন। মেয়েদের ঢোকার সুযোগ করে দেন। এবং চাকরিতে মেয়েদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা করলেন। নির্যাতিত নারীদের জন্যও করলেন। এখন দেখি আবার মেয়েরাও নেমে গেছে রাস্তায়। কোটা সংস্কার, কোটা চায় না। সংস্কার বা আমি ধরে নিবো কোটা চায় না। এবং যখন আলোচনা হয়েছে আমাদের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে তখন যে মহিলা প্রতিনিধিরা ছিলো তারা বলে গেছে স্পষ্ট তারা কোটা চায় না। তারা পরীক্ষা দিয়ে চলে আসবে। খুব ভালো কথা, আমিতো খুব খুশি। আমি নারী ক্ষমতায়নে সবথেকে বেশি কাজ করেছি। আজকে সব জায়গায় নারী, তাদের অবস্থানটা আছে। তখন তারা চায় না তখন আর দরকারটা কি, তাহলে কোটা পদ্ধতির দরকার নেই। আর যারা প্রতিবন্দী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদেরকে আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। তারাও জয়েন করতে পারবে।

এ কোটা নিয়ে আন্দোলন আমি ছাত্রদের বলবো তাদের আন্দোলন তারা করেছে যথেষ্ট, এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক। আর এই ভিসির বাড়ি কারা ভেঙেছে লুটপাট কারা করেছে এবং লুটের মাল কোথায় আছে কার কার আছে ছাত্রদের তা খুঁজে বের করে দিতে হবে। সেই সাথে সাথে যারা এই ভাঙচুর লুটপাটের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাকে আমি নামিয়েছি। এটা তদন্ত করে বের করতে হবে। সেইক্ষেত্রে আমি শিক্ষক ছাত্র তাদেরও সহযোগিতা চাই। কারণ এতো বড় অন্যায় আমরা কোনভাবে মেনে নিতে পারিনা।

এখনও আমাদের শিক্ষক। যারা এখনও বেঁচে আছে। যখন তাদের দেখি আমরা তাদেরকে সম্মান করি, এখনও সম্মান করি। আমি প্রধানমন্ত্রী হই যাই হই যখন আমি শিক্ষকের কাছে যাই। তখন আমি তার ছাত্রী। সেভাবেই তাদের সাথে আলোচনা করি। গুরুজনকে অপমান করে শিক্ষা লাভ করা যায় না। সেটাতে প্রকৃত শিক্ষা হয় না। হয়তো একটা ডিগ্রি নিতে পারে প্রকৃত শিক্ষা হয় না। প্রত্যেককেই অন্তত শালীনতা বজায় রাখতে হবে, নিয়ম মেনে চলতে হবে। আইন মেনে চলতে হবে। একটা রাষ্ট্র পরিচালনায় কতিপয় নীতিমালার মধ্যে দিয়ে চলে।

প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় অস্ত্রে ঝনঝনানি ছিলো, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিলো, আমি আসার পর সেগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছি। ছাত্রদের জন্য শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছি তারপরও তারা আলোচনা হলোম একটা সুনির্দষ্ট তারিখ দিলো, ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে দায়িত্ব দিলাম। তারা সে সময়টা দিলো না। একদল বললো মানি না মানবো না বলে তারা যখন বসে গেলো আস্তে আস্তে সব ওর সাথে যুক্ত হলো। তো খুব ভালো কথা। সংস্কার সংস্কার করতে গেলে। সংস্কারতো আবার কয়দিন পর আবার একদল বলবে আবার সংস্কার চাই তো কোটা থাকলেইতো সংস্কার। আর না থাকলে সংস্কারের কোন ঝামেলা নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকার দরকার নাই। আর যদি দরকার হয় আমাদের ক্যাবিনেট সেক্রেটারিতো আছে আমিতো তাকে বলে দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে বসে ঔ কমিটি বসে কাজ করবে এবং সেখান থেকে তারা দেখবে কিন্তু
আমি মনে করি, এরকম আন্দোলন বারবার হবে বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে। এই যে পরীক্ষা নষ্ট হলো। যেখানে আজ পর্যন্ত একটা সেশন জট ছিলোনা। অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে বের হয়ে চাকরি পেতো। বেসরকারি খাত উম্মুক্ত করে দিয়েছি সেখানে চাকরির সুযোগ আছে। অথচ এই কয়েকদিন ধরে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাশ বন্ধ। পড়াশোনা বন্ধ। তারপর আবার ভিসির বাড়ি আক্রমণ। রাস্তাঘাট গুলিতে যানজট। মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষের কষ্ট। তো এই সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেনো। এই বারবার কষ্ট বন্ধ করার জন্য, বারবার এই আন্দোলন বা ঝামেলা মিটাবার জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা আমি মনে করি সেটাই হলে ভালো।
মাননীয় স্পিকার আপনাকে ধন্যবাদ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply