হিজাব বিতর্কে কর্ণাটকের সব স্কুল-কলেজ ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা

|

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক ও উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। চলমান বিতর্কের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, হিজাব বা কোনো ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী পোশাক পরা যাবে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরপরই আরও উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরবর্তী তিনদিনের জন্য রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ এস বোমাই। খবর এনডিটিভি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টুইটবার্তা প্রকাশ করছেন দেশটির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, আমি সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং স্কুল-কলেজের ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং কর্ণাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি। এ লক্ষ্যে আগামী তিন দিনের জন্য সমস্ত হাইস্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে হিজাবের ওপর রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্দেশনার বিরুদ্ধে রাজ্যের সরকারি কলেজের পাঁচ নারী শিক্ষার্থী কর্ণাটক হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন। এই পিটিশনের শুনানি চলছে বর্তমানে। আগামীকাল বুধবারও (৯ ফেব্রুয়ারি) চলবে শুনানি। তবে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সকলকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী পোশাক নিষিদ্ধ হলো কর্ণাটকে

উল্লেখ্য, ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন পোশাক গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে নিষিদ্ধ করেছে কর্ণাটক রাজ্য সরকার। সরকারের যুক্তি, ১৯৮৩ সালে প্রণীত কর্ণাটক শিক্ষা নীতিমালার ১৩৩ ধারা অনুসারে, স্কুল-কলেজের জন্য নির্ধারিত পোশাকের বাইরে কিছু পরিধান করা যাবে না। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রহণ করতে পারে নিজস্ব কিছু নীতিমালা। তবে অবশ্যই সেটি যেনো সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। সমতা-অখণ্ডতা এবং সার্বজনীনতা বজায় রাখার স্বার্থেই আইনটি পাস করা হয়েছিল।

তবে দেশটির রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজে মুসলিম নারীদের হিজাব বা হিন্দু পুরুষদের গেরুয়া উত্তরীয় পরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরই বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply