কালার করা চুলের যত্নে নেবেন যেভাবে

|

এখন অনেকে চুল রাঙাচ্ছেন সবুজ, লাল, নীল, সোনালি রঙে। একে তো কালার করা চুল, আবার শীতকালও। এ সময় বাতাস এমনিতেই শুষ্ক ও রুক্ষ করে দেয় চুলকে। তার ওপর রাসায়নিক প্রয়োগ করে চুলে রঙ করলে কিছুটা ক্ষতি তো হয়েই থাকে। চুল একটু বেশি রুক্ষও হয়ে পড়ে। তবে কিছু উপায় মেনে চললে ঠিকঠাক রাখা যায় চুল। জেনে নেয়া যাক সেসব।

নিয়মিত চুলে তেল দিন
চুলে তেল লাগানোয় অনেকেরই অনীহা দেখা যায় এখন। তবে চুলে তেল প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে ভীষন কার্যকরী উপাদান। সপ্তাহে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন রাতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল যদি মাথায় ভালো করে মালিশ করা যায়, তাহলে এই শীতেও চুল খুব বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে না। তেল চুলের আর্দ্রতাকে ধরে রাখে, তাই অন্তত এই সময়টুকু চুলে একটু তেল দিন।

হেয়ার প্যাক
হেয়ার স্পা করতে না পারলেও স্পায়ের মতোই উপকার মিলতে পারে ঘরোয়া টোটকায়। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী টক দই, মধু আর পাকা কলার মিশ্রণ তৈরি করুন। চুলে লাগিয়ে আধ থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ছেড়ে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন করতে পারলেই দেখবেন চুলের স্বাস্থ্য ফিরে এসেছে। রুক্ষতা দূর হয়েছে। ডিমের সাদা আর টক দই দিয়েও হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন।

রোজ শ্যাম্পু করবেন না
শ্যাম্পু করলে চুলের ময়লা, ধুলো, বালি দূর হয়। তবে এই শীতের শুস্ক দিনে রোজ শ্যাম্পু করলে চুল স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাতে পারে। তাই এখন একেবারেই রোজ শ্যাম্পু নয়। খুব প্রয়োজন হলে অন্তত একদিন পরপর করুন। চেষ্টা করুন, এ সময়টুকু মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে।

গরম পানি মাথায় ঢালবেন না
শীতের ঠান্ডায় বেশিরভাগেই গরম পানি দিয়ে গোসলা করেন। তবে গোসল করার সময় গরম পানি গায়ে ঢাললেও মাথায় বা চুলে ঢালবেন না। এতে চুলের রঙ তো নষ্ট হয়ই, সঙ্গে চুল আরও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।

হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না
শীতে কিন্তু চুল শুকোতে বেশি সময় লাগে না। খুব কম সময়েই শুকিয়ে যায়। গোসলের পর ভালো করে চুল মুছে হালকা রোদে দাঁড়ালেই কেল্লাফতে। তাই বলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। ব্লো-ড্রাই করলে অতিরিক্ত তাপে চুল প্রাণ হারাতে পারে। যদি একান্তই ব্লো-ড্রাই করতে হয়, তবে হেয়ার ড্রায়ারের তাপমাত্রা ন্যূনতম রাখুন।

সূত্র: দ্য ওয়াল


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply