বাসে ভয়াবহ ডাকাতির শিকার সরকারি চিকিৎসক, মামলা নেয়নি কোনো থানা

|

ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম সজীব।

খোদ রাজধানীতে ভয়ঙ্কর ডাকাত দলের হাতে পড়ে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন একজন সরকারি চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে দূরপাল্লার বাসে ওঠার পর রাতভর চোখ বেঁধে, বেদম পিটিয়ে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ঘোরানো হয় তাকে। সকালে নামিয়ে দিলে সেই চিকিৎসকের মামলা নেয়নি ঢাকার দুটি থানা। রাগে-ক্ষোভে ঘটনা পুলিশকে না জানিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন টাঙ্গাইলে কর্মরত সেই চিকিৎসক।

গত ২০ জানুয়ারি, বন্ধুর সাথে ঢাকা থেকে কর্মস্থল টাঙ্গাইল রওনা হন ডাক্তার শফিকুল ইসলাম। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে ওঠেন ঢাকা-রাজশাহী-চাপাই রুটের একটি বাসে। মিনিট ১৫ পর তারা বুঝতে পারেন যাত্রী বেশে থাকা বাসের অধিকাংশই ডাকাত।

রাতভর রাজধানীর আশপাশের বিভিন্নস্থানে ঘুরে যাত্রী তোলে বাসটি। মারধর করে তাদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নেয় যাত্রীবেশী ডাকাতরা। পরে ভুক্তভোগীদের নামিয়ে দেয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।

আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত

এ নিয়ে ভুক্তভোগী সেই চিকিৎসক জানান, সকালে মাতুয়াইলে রাস্তার পাশে বাসটি ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। সেখান থেকে প্রথমে যাত্রাবাড়ী থানায়, পরে ঢাকার অপর প্রান্ত উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। কিন্তু আব্দুল্লাপুর থেকে বাসে ওঠায় এবং যাত্রাবাড়ীতে বাস থেমেছে এমন অজুহাতে মামলা নেয়নি পুলিশ। এনিয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ক্ষোভ আর কষ্টের কথা জানান সরকারি এই চিকিৎসক।

ঘটনাটি নজরে আনা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের। জনসংযোগ বিভাগের ডিসি জানান, এমন ক্ষেত্রে বাসের যাতায়াতকারী পথ সংলগ্ন যেকোনো থানায় মামলা করার অধিকার রয়েছে ভুক্তভোগীর।

এ নিয়ে ডিএমপি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, বছর দুয়েক আগে ঠিক একই ধরনের দুই সংঘবদ্ধ চক্রকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা জেলা পিবিআই। ঘটনার বর্ণনা শুনে একই ধরনের চক্রের হাতে ড. শফিক পড়েছিল বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।

পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ফোনে ডা.শফিককে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা হাসপাতালের এই আবাসিক চিকিৎসক।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply