সংক্রমণ বাড়লেও খুলনার হাসপাতালগুলোতে নেই প্রস্তুতি

|

করোনা ওয়ার্ডগুলো এখনও অবহেলায়।

ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতেও তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না খুলনায়। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে এখনও কোনো প্রস্তুতিই নেয়া হয়নি। হঠাৎ রোগী বেড়ে গেলে চিকিৎসক প্রয়োজন, এ বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা আক্রান্তদের ওয়ার্ডগুলোও অপ্রস্তুত।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালের চারতলা ভবনটিতে ৮০ শয্যা নিয়ে শুরু হয়েছিলো করোনা রোগীদের চিকিৎসা। মাঝে সংক্রমন কমায় শুরু করা হয়েছিল সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা। এরইমধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণ চলে যাচ্ছে ভীতিকর পর্যায়ে। এতেও সরকারি এই হাসপাতালটিতে নেয়া হয়নি কোনো প্রস্তুতি।

চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা ভর্তি আছেন। চতুর্থ তলায় দেয়া হচ্ছে করোনা টিকা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে করোনা রোগীদের শয্যা। এসব নিয়ে অবশ্য কথা বলতে চান না হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনো মাস্কবিমুখ জনসাধারণ

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে যখন বিপর্যস্ত খুলনাসহ সারা দেশ, তখন ৪৫ শয্যা নিয়ে চিকিৎসা সেবা শুরু করে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল। এখানে সাধারণ শয্যা ৩৫ আর আইসিইউর শয্যা সংখ্যা ১০টি। এই হাসপাতালেও এখন চলছে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা। অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নতুন ঢেউ মোকাবেলায় প্রয়োজন হবে চিকিৎসকের।

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র করোনা ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটড হাসপাতালটিতেও প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের মুখপাত্র জানালেন, রোগীর সংখ্যা বাড়লে আগের মতো চলবে চিকিৎসা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply