শীতেও স্বস্তিতে সবজি খেতে পারছে না শহরবাসী

|

এবার শীতে স্বস্তিতে সবজি খেতে পারেনি শহরের মানুষ। বন্যা, বৃষ্টির দাপট তো ছিলোই। তার ওপর কয়েক দফা হাতবদলের কারণে খুচরা পর্যায়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ ডিজেলের বাড়তি দাম। অথচ পাইকারিতে সরবরাহ স্বাভাবিক। দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করছেন চাষিরাও। রোগ বালাইয়ের কারণে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি, এর ফলে দাম বেড়েছে বলছেন কৃষকরা।

শীতের দাপট বাড়ায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার জবুথুবু ভাব। দূরপাল্লার ট্রাক থেকে সবজি আনলোড হয়েছে কিছুটা দেরিতে। পাইকারের সাথে খুচরা ব্যবসায়ীদের লেনদেন চলেছে অনেক বেলা পর্যন্ত। সেখানে সবজির সরবরাহ বেড়েছে।

সবজির দামে তার প্রমাণও মিললো। গত সপ্তাহের ৭০ টাকার শিম এবার ৬০ টাকা। ২০ থেকে ২৫ টাকায় মিলবে ফুলকপি, বাঁধাকপি। মূলার কেজি ৩০ টাকা। সে তুলনায় বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, বেগুন। ক্রেতারা বলছেন, এবার শীতে এই প্রথম সবজির দাম কমছে। তবে এখনো স্বাভাবিক না।

বৃষ্টি-বন্যার ধকল কাটিয়ে উত্তরে স্বাভাবিক হচ্ছে সবজির যোগান। তবে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি দামে। আলু ও শিমে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। পাইকাররা বলছেন, তারা নিরুপায়। আর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কৃষকেরা।

রবি শস্যের আবাদ বেড়েছে চরাঞ্চলে। তবে ডিজেলের দামে দিশেহারা কৃষক। সেচের খরচ তো বেড়েছেই। সাথে জমি পরিচর্যা ও পণ্য পরিবহন নিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব। এর মাঝেই আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। তারা বলছেন, ১ সপ্তাহের মধ্যে বাজারে সবজির দাম আরো কমবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply