বাসিন্দাদের দাবি, বদলাতে হবে গ্রামের নাম

|

দুনিয়াতে এমন জায়গাও রয়েছে যেখানকার নাম সেখানকার বাসিন্দারাই উচ্চারণ করতে লজ্জা পায়। এমনই একটি গ্রাম রয়েছে সুইডেনে। সুইডেনের সেই গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের গ্রামের নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা পায়।

সেই গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে গ্রামের নাম সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেদের গ্রামের নাম অন্য কোথাও উচ্চারণ করতে পারে না। এছাড়াও তাদের সব থেকে বড় সমস্যা হলো তারা তাদের গ্রামের নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখতে পারে না সেন্সরশিপের জন্য।

যুক্তরাজ্যের পত্রিকা ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইডেনের ‘ফাক’ (Fucke) গ্রামের লোকেরা সেই গ্রামের নাম বদলানোর জন্য এক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এর আগে ২০০৭ সালে এমন আবেদন করেছিল ফাকবাই (Fjuckby) গ্রামের লোকেরা। কিন্তু সেই গ্রামের নাম বদলানো হয়নি। সুইডেনের ফাক গ্রামের নামটি ঐতিহাসিক এবং ১৫৪৭ সালে এই নাম দেয়া হয়েছিলো। এর জন্য সুইডেনের জাতীয় ল্যান্ড সার্ভে ডিপার্টমেন্ট সেই গ্রামের নাম পরিবর্তন করতে সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু সেই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যত দিন ওই গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হবে না, ততদিন তাদের এই ক্যাম্পেইন চলবে। সেই গ্রামের মোট ১১টি ঘরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘ফাক’ নাম বলতে তাদের লজ্জা লাগে।

স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের গ্রাম খুবই ভালো ও শান্ত, ওই গ্রামের সকলেই সেখানে খুব খুশি। কিন্তু তাও তারা সেই গ্রামের নাম বদলাতে চায়। এর প্রধান কারণ হল সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপ। এই কারণে তাদের গ্রামের নাম আপত্তিজনক ও অশালীন মনে হয়। এর ফলে তারা তাদের গ্রামের নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে না। সুইডেনে কোনো গ্রামের নাম বদলানোর জন্য সেখানকার জাতীয় ল্যান্ড সার্ভে ডিপার্টমেন্ট, জাতীয় হ্যারিটেজ বোর্ড এবং লোককথা সংস্থা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোনো নাম বদল করার আগে এর ইতিহাস সম্পর্কে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে যেহেতু সেই গ্রামের নামের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, তাই সহজেই বদলানো যাবে না সেই গ্রামের নাম। যদিও নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটছে না গ্রামবাসীও!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply