কেরাণীগঞ্জে বস্তাবন্দি কে এই চিত্রনায়িকা শিমু?

|

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে ঢাকাই ছবির অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিএফডিসি। এরই মধ্যে কে এই নায়িকা শিমু জানতে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন অনেকে।

জানা গেছে, প্রথম সারির কোনো অভিনেত্রী না হলেও দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শিমু। ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। শুধু রূপালি পর্দায় নয়; ছোট পর্দায়ও শিমুর পদচারণ ছিল। বহু নাটকে দেখা গেছে তাকে।

মৌসুমি, শাবনূর, পূর্ণিমাদের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী না হলেও শিমু অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় সব অভিনেতার বিপরীতে। চিত্রনায়ক রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানের বিপরীতে স্ক্রিন শেয়ার করেন এ নায়িকা।

১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে ঢাকাই ছবিতে অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। শুধু কাজী হায়াতই নয়; বাংলাদেশের অনেক গুণী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু। সে তালিকায় রয়েছেন চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এজে রানা, শরিফুদ্দিন খান দীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

শিমু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। মিশা-জায়েদের সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ সদস্যের মধ্যে একজন তিনি। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়।

শিমুর ফেসবুক পেজে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিপণন বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি একটি প্রোডাকশন হাউস চালাতেন এ অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: রিয়াজ ভাইয়ের কান্না হাস্যকর লেগেছে: জায়েদ খান
এদিকে শিমু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঢাকাই ছবির চিত্রতারকা জায়েদ খানকে জড়িয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। যদিও নিহত শিমুর ভাই বোনের হত্যায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলকেই দায়ী করছেন।

মঙ্গলবার ভোরেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ খান বলেন, শিল্পীদের অধিকার ও সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার কারণে আমাকে ও আমার কমিটি নিয়ে আরও নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খুব বাজে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে এফডিসির ভেতরে। শিমুর হত্যাকারীকে যদি র‍্যাব আজকে না ধরতো তাহলে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন হতো এফডিসিতে। আমার কী হতো খালি চিন্তা করেন একবার! আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই র‍্যাব ও পুলিশকে।

জায়েদ খান আরও জানান, শিমুর সাথে গত দুই বছরে আমার দেখা বা কথা হয়নি। আর এখন যা দেখছেন তা হলো সামনে ৩-৪ জনকে রেখে পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন অন্য কেউ। আমি দুই টার্ম নির্বাচিত হয়েছি, আমার সাফল্য অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: স্বামীই চিত্রনায়িকা শিমুর হত্যাকারী, অভিযোগ ভাইয়ের

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply