দুই বছরের মহামারিতে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যসীমার নিচে আরও ১৬ কোটি মানুষ

|

ছবি: সংগৃহীত

দুই বছরের করোনা মহামারি বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঠেলে দিয়েছে চরম দারিদ্র্যের মুখে। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারিতে বিশ্বজুড়ে আরও ১৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের শিকার হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের শিকার হয়েছেন ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ, মহামারির আগে বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ চরম দরিদ্র ছিলেন, গত দুই বছরে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন আরও ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ইকোনমিক ফোরাম হিসেবে পরিচিত দাভোস অ্যাজেন্ডা সামিটে ইনঅ্যাকুয়ালিটি কিলস শিরোনামের এ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত দুই বছরের মহামারিতে জনজীবন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা, স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, ক্ষুধা ও জলবায়ুগত বিপর্যয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ হাজার মানুষ।

ধনীব্যাক্তিদের সম্পদের পরিমাণ অবশ্য অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদের বেড়েছে ১৫ হাজার ডলার করে। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা বুচার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বের চরম দরিদ্রসীমার নীচে বাস করা ৩১০ কোটি মানুষের সমস্ত সম্পদ যোগ করলে করলে যা হবে, শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদের পরিমাণ তার ৬ গুণেরও বেশি।

সম্পদের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে গ্যাব্রিয়েলা বলেন, শীর্ষ ধনীদের মোট সম্পদের ওপর ধার্যকৃত কর যদি ঠিকমতো আদায় করা যায় তাহলে, সেই করের মাত্র ১ শতাংশ দিয়েই বিশ্বের সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা তৈরি অথবা অন্তত ৮০ টি দেশের সামাজিক-জলবায়ুগত ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তহবিল তৈরি করা সম্ভব।

গ্যাব্রিয়েলা বুচার আরও বলেন, মহামারি যেভাবে অর্থনৈতিক অসাম্য বাড়িয়েছে, তা এক কথায় অসহনীয়। এ অসাম্যের কারণে বিশ্বজুড়ে শুধু দরিদ্রের সংখ্যাই নয়, বেড়েছে সামাজিক ও লিঙ্গভিত্তিক সন্ত্রাসও। শীর্ষ ধনীদের করের আওতায় আনা, প্রয়োজনে কর আইন সংশোধন করা ও যথাযথভাবে কর আদায় করা এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি এখন সময়ের দাবী।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply