ফ্রান্সে স্কুল খোলা রাখা নিয়ে সরকার-শিক্ষক দ্বন্দ্ব চরমে

|

ছবি: সংগৃহীত।

ফ্রান্সে করোনা মহামারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর নীতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দেশটির সরকার এবং শিক্ষকরা। স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার শিক্ষক। যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরাও। শিক্ষা কার্যক্রম বার বার চালু এবং বন্ধ করা নিয়েও সরকারের সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা।

ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষের শরীরে শনাক্ত হচ্ছে করোনা ভাইরাস। ভয়ঙ্কর এমন পরিস্থিতিতেও খোলা রাখা হয়েছে প্রাইমারি ও হাইস্কুলগুলো। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ। তাদের দাবি, করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।

লরেন্স ফর্টেল নামে দেশটির এক শিক্ষিকা বলেন, সরকারের করোনা নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলনকে ভাইরাস বিরোধী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বার বার যে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা কোন মানুষের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব না। কোনো অবহেলাই মেনে নেবো না, কারণ আমরা কোনো পণ্য না।

হনোরাইন ডি জ্যাকরি নামে অবসরপ্রাপ্ত আরেক শিক্ষিকা জানান, কোনো সরকারই শিক্ষকদের নিয়ে চিন্তা করেনি কখনো। সবার আচরণই এক। গেলো ৩০ বছরের শিক্ষকতায় কোনো পরিবর্তন দেখিনি আমি। কারণ রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় আসেন, পকেট ভারি করেন, চলে যান। এভাবেই চলছে।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরাও। তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষা নিশ্চিত না করা গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। প্রয়োজনে অনলাইন কার্যক্রম চালুর দাবিও জানান অনেকে।

মার্লিন পউভিন নামে এক শিক্ষার্থী অভিভাবক বলেন, বুঝতে পারছি এই আন্দোলনের কারণ আমরাই। কারণ আমি হাসপাতালে কাজ করি। সেখান থেকে বাসায় ফিরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোনো ভাবেই করোনা সুরক্ষা মেনে চলা সম্ভব না। এক্ষেত্রে স্কুল-হাসপাতাল একই কথা।

যদিও ফরাসি প্রশাসন এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে। অভিযোগ, আগামী এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু শিক্ষককে উস্কানি দিচ্ছে বাম দলগুলো।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply