বর আসার আগেই কনের বাড়ি হাজির ইউএনও; নাটোরে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে

|

বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কনের পরিবারের সাথে কথা বলছেন ইউএনও মো. তমাল হোসেন।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নাটোর:

চলছিল বাল্যবিয়ের আয়োজন। বড় বড় ডেকচিতে চলছিলো বরযাত্রী ও আগত অতিথিদের জন্য রান্নাবান্না। সবাই বরযাত্রী আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বর আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে হঠাৎ উপস্থিত হন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করেন তিনি। এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বিলশা গ্রামের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। বর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। দুপুরের দিকে বর এবং বরযাত্রীর আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। ঠিক এমন অবস্থায় পুলিশকে সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন। এসময় মেয়েপক্ষের লোকজন ইউএনওকে নানাভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে নানা আয়োজনের প্রস্তুতির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়ের পরিবার একপর্যায়ে স্বীকার করেন বিয়ের বিষয়টি। এরপর ইউএনও তমাল হোসেন সেই বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেন তার পরিবারের কাছ থেকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, বিলশা গ্রামে এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের প্রস্তুতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। মেয়ের অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে। তারাও মেয়ের বিয়ের বয়স হবার পূর্বে বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply