১১ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পুরো দেশ, ডিআরএস নিয়ে কোহলিদের ক্ষোভ

|

ছবি: সংগৃহীত

রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে বেঁচেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। এ নিয়ে মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ভিরাট কোহলি-কে এল রাহুলদের। স্ট্যাম্প মাইকে কে এল রাহুলকে বলতে শোনা গেছে, ১১ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খেলছে পুরো দেশ। ম্যাচ জেতার জন্য আরও ভালো কোনো উপায় বের করা উচিত ছিল সুপারস্পোর্টের।

কেপটাউন টেস্টের ফাইনালে ইনিংসে যখন ২১২ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান নিয়ে ব্যাট করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তখনই ঘটে আলোচিত এক ঘটনা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে পরাস্ত হন ডিন এলগার। ভারতীয়দের সমস্বরে এলবিডব্লিয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস। রিভিউ নিয়ে সফল হন এলগার। বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তিতে দেখা যায়, স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে চলে যেত বল। সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় ইরাসমাসকে। এ ঘটনায় বিরক্ত শুধু ভিরাট কোহলি বা ভারতীয় ক্রিকেটাররাই হননি, হয়েছে অনফিল্ড দুই আম্পায়ারও। মারাইস ইরাসমাস কোনোভাবেই বল ট্র্যাকিংয়ের সাত্যহে একমত হতে পারেননি। মাথা নাড়তে নাড়তে তাকে বলতে শোনা যায়, এটা অসম্ভব।

খেলা সম্প্রচার করা চ্যানেলই হক আই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যে প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখানো হয় বল ট্র্যাকিং। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা সুপার স্পোর্টের দিকেই তাই তোপ দাগিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। অশ্বিনের ওভার শেষ হওয়ার পর বিরতিতে স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে খেলা সম্প্রচার করা চ্যানেলের উদ্দেশে ভিরাট কোহলি বলেন, শুধু প্রতিপক্ষ নয়, তোমাদের দল যখন বল উজ্জ্বল করে সেদিকেও মনোযোগ দাও। বিপক্ষ দলকে ধরার ধান্দা সব সময়!

স্ট্যাম্প মাইকের কাছে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দিকে ইঙ্গিত করেই কথাটি বলেছেন কোহলি। অজি ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের শিরীষ কাগজ দিয়ে বল ঘষার ফুটেজ প্রকাশ করেছিল এই সুপারস্পোর্টই। এরপর ব্যানক্রফটসহ ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার।

আরও পড়ুন: উইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply