শীতে গরম পানি পান করার যত উপকারিতা

|

ছবি: সংগৃহীত।

শীতের সময় গরম পানির কদর ও ব্যবহার বেড়ে যায়। কেউ গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহার করেন আবার কেউ পান করেন কুসুম গরম পানি। শীতের তীব্রতার ভেতরেও নিজেকে যতটা সম্ভব উষ্ণ রাখার প্রচেষ্টার অংশ এই গরম পানির ব্যবহার। শীতে গরম পানি পান করলে তা শুধু শরীরই গরম রাখে না, বরং এর রয়েছে নানা রকম উপকারিতা।

হেলথ লাইন ডট কম’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কেউ যদি সকালে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করে তবে অনেক সমস্যা থেকে মিলবে সমাধান। খালি পেটে চা বা কফি পান করার বদলে হালকা গরম পানি পান করার উপকারিতা অনেক। কারণ হালকা গরম পানি পান করার কারণে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। শীতে হালকা গরম পানি করার রয়েছে আরও কিছু উপকারিতা, চলুন জেনে নেয়া যাক-

খাবার হজমে সহায়ক

সচেতন থাকার পরেও প্রতিদিন আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি যেগুলো আমাদের জন্য উপকারী নয়। তার ভেতরে তেল-মশলাযুক্ত বিভিন্ন খাবারও থাকে। সেসব খেয়ে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই অভ্যাস হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে

সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত পান করলেই পাওয়া যাবে উপকার। এক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকারিতার জন্য হালকা গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

কেউ যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তবে তার জন্য সহায়ক হতে পারে কুসুম গরম পানি। এই শীতে নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস করা যেতে পারে। এটি শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে কাজ করে।

ত্বক ভালো রাখে

ত্বক ভালো রাখতে হালকা গরম পানি পান করার জুড়ি নেই। কারণ এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে তুলতে পারে। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে চোখে পড়ার মতো। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।

কাশি দূর করে

শীতের মৌসুমে কাশির সমস্যা খুব সাধারণ। শীত এলে এই সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কাশি থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম পানির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। শুধু কাশিই নয়, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি দূর করতেও কাজ করে এই হালকা গরম পানি। তাই এই শীতে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply