পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার আবদার নিয়ে কলহ, দাদার হাতে নাতি খুন

|

ছেলে রিফাতের আবদারে পাঙ্গাস মাছ কিনে আনেন বাবা রেজাউল। আর এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে ১৩ বছরের শিশু রিফাতকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিফাত। নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার রিফাত বাবা রেজাউলের কাছে মাছ খাওয়ার আবদার করলে, রেজাউল একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনে। এ নিয়ে কলহ শুরু হয় পরিবারে।

প্রতিবেশী রোজিনা বেগম জানায়, রিফাতের পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার আবদার মেটাতে বাবা মো. রেজাউল মিয়া ১টি পাঙ্গাশ মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে পরিবারের মধ্যে কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে রেজাউলের পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাক (৭০), তার স্ত্রী রিজিয়া (৫৫), ভাই রবিউলের স্ত্রী হোসনে আরা (৩৫), রবিউলের ছেলে আরাফাত (১২), সিফাত (১৪) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রিফাত ও রেজাউলকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর আনুমানিক ৩.১৫ মিনিটের এর সময় রিফাত (১৩) ও রেজাউল (৪০) জরুরি বিভাগে এলে তাদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রিফাত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মারা যায়। পরে তারা রিফাতের পরিবার ও নাগরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) জাহাঙ্গীর জানান, এমন ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। কিন্তু তারা আইন অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply