প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে কুপিয়ে হত্যা

|

ছবি: জমির খাঁ

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শান্তিনগর গ্রামে বৃদ্ধা জোহরা খাতুনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন নয়, নিজের গর্ভধারিণী বৃদ্ধা মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড ছেলে। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যাকাণ্ডের নাটক মঞ্চস্থ করে ছেলে।

৩৬ বছর ধরে চলা বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। সোমবার গ্রেফতারকৃত ঘাতক জামির খাঁ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলামের আদালতে হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা দিয়ে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
রোববার জোহরাকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করে বৃদ্ধার ছেলে। এ নিয়ে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রয়াত রশিদ খাঁর পরিবারের সাথে প্রতিবেশী আত্মীয় বজলু খাঁর পরিবারের বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি আদালতের রায়ে রশিদ খাঁর পক্ষকে বাড়ির সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। সম্পত্তির দখল বুঝে পেলেও প্রতিপক্ষ বজলু খাঁ ও তার লোকজন সম্পত্তি ফিরে পেতে রশিদ খাঁর পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা মামলা হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। ওইসব কারণে প্রতিপক্ষ বজলু খাঁকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করেন প্রয়াত রশিদের ছেলে জমির খাঁ।

গত রোববার সকাল থেকে সম্পত্তির জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে জমির খাঁ তার বৃদ্ধা মাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় হত্যার পর রক্তমাখা দা নিজ ঘরের সিলিংয়ের ওপর রেখে দেয়। নিহতের রক্তাক্ত লাশ ওই ঘরের এক কোনে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জামিরের ঘরের সিলিংয়ের ওপর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ জামিরকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। নিহত জোহরা ওই গ্রামের প্রয়াত রশিদ খাঁর স্ত্রী।

আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) কাজী আব্দুল খালেক জানায়, ঘাতক হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply