যাদের কেড়ে নিলো ২০২১

|

সারা পৃথিবীতেই বিষাদের বছর হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে ২০২০ সাল। করোনাভাইরাস তাণ্ডবের সাক্ষী হয়ে। সেই রেশ ছিল ২০২১ সালেও। মহামারি করোনার শিকার হয়ে মারা গেছেন অনেক তারকাই। কেউ করোনায় আবার কেউ বা বার্ধক্যজনিত কারণে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। এ বছরই অনেক অভিনেতা–অভিনেত্রীকে হারিয়েছে ঢালিউড, যাদের প্রয়াণ গভীরভাবে দাগ কেটেছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে।

২০২১ সালে আমরা চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি এমনই একজন অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি চলে যান পরপারে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা নিয়ে কয়েক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে নেওয়া হলে সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বরেণ্য অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। যার অভিনয়ে মুদ্ধ হয়নি এমন দর্শক পাওয়া দায়। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ এপ্রিল ২০২১ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর। ২৩ জুলাই তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

এক সময় বাংলা সিনেমা মানেই ছিল ওয়াসিমের সরব উপস্থিতি। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেতা ১৮ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭১ বছর বয়সে চলে যান না ফেরার দেশে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস এম মহসীন প্রাণ হারিয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার অভিনীত শেষ সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’। এ সিনেমার শুটিং শেষ করে ২ এপ্রিল ঢাকায় ফিরেছিলেন এস এম মহসীন।

৮ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

নাট্যকার ও অভিনেতা ড. ইনামুল হক ১১ অক্টোবর ঢাকায় মারা যান। এদিকে, এর কিছুদিন পর ২৪ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে যান অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ১ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। করোনা মুক্ত হলেও শারীরিক জটিলতায় না ফেরার দেশে চলে যান এ অভিনেতা।

এছাড়াও এ বছর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন আরো অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষ। আর তাদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply