দিনে ১০ প্লেট ভাত খাচ্ছেন বাপ্পী! কিন্তু কেন?

|

কুস্তিগির সিনেমার শুট্যিংয়ে চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী।

গ্রাম বাংলার পুরনো এক সংস্কৃতি কুস্তি। এর সাথে জড়িয়ে অগণিত মানুষ। সেই মানুষদের জীবন এবার উঠে আসছে সেলুলয়েডে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন শাহীন সুমন। এ সিনেমায় তৃতীয়বারের মতো জুটি হয়ে আসছেন ঢালিউডের আলোচিত অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী ও জাহারা মিতু।

কুস্তি আবহমান বাংলার হাজার বছরের পুরনো এক সংস্কৃতি। শক্তির এ লড়াই এ আছে জয়-পরাজয়। তবে এ জয় কিংবা পরাজয়ের পেছনে থাকে অগণিত গল্প। যে গল্প অজানা থেকে যায় শক্তির লড়াই দেখতে আসা উৎসুক জনতার!

একজন কুস্তিগিরের সেই অজানা গল্পের নায়ক বাদশা হয়ে এবার রুপালি পর্দায় আসছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী।
গল্পটি গ্রামের সাধারণ এক পরিবারের। মা, বাবা,ভাই বোন মিলে সংসারের এ এক চিরচেনা দৃশ্যায়ন। তবে একসাথে খেতে বসে রচিত হওয়া অভিমান-অভিযোগের মুহূর্তের পিছনেই লুকিয়ে এ সিনেমার গল্প।

বাদশা, এলাকার বিখ্যাত কুস্তিগির হয়েও যে কখনোই জয়ী হতে পারে না। জীবন বাস্তবতায় তাকে হারতে হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু একবারই মাত্র জিতে যায় বাদশা। কিন্তু কেন? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে কুস্তিগির সিনেমায়।

কুস্তিগিরের বাদশাকে নিয়ে চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে গল্পটি পেয়েছি। তখন আমি বেশ চিকন ছিলাম, তো পরিচালক শাহিন ভাই আমাকে কুস্তিগিরের কিছু স্কেচ দেখিয়ে বলেন যে এমন হতে হবে। এ সিনেমার প্রস্ততি হিসেবে আমি যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচুর খেয়েছিলাম, এখনও খাচ্ছি। চেষ্টা করছি পালোয়ানের মত ফিগার তৈরি করার।

জয়-পরাজয়ের এই গল্পে আছে ভালোবাসার হাতছানিও। বাদশা ভালোবাসে গ্রামের দস্যি মেয়ে ঝিনুককে। এ সিনেমায় ঝিনুক হয়ে আসছেন জাহারা মিতু। ঝিনুকের চরিত্র সম্পর্কে জাহারা মিতু বলেন, এর আগে যখন জয় বাংলা সিনেমায় কাজ করি তখন আমরা কামাল ও মিতু হিসেবে কাজ করেছি। এ কারণে একটা ভাল বন্ধুত্ব ও রসায়ন তৈরি হয়েছে আমাদের মধ্যে। এখন আবার আসছি বাদশা ও ঝিনুক হিসেবে। জয় বাংলায় দর্শক আমাদের ষাটের দশকের প্রেম করতে দেখেছেন। এবার দেখবেন ২০২১ এর প্রেম।

সিনেমাটির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন সঞ্জয় কান্ত। নির্মাণ করছেন শাহীন সুমন। এ সিনেমার মাধ্যমে ৭ বছর পর আবারও একসাথে আসছেন বাপ্পী চৌধুরী ও শাহীন সুমন।

এই সময়ে কেন এমন গল্প বেছে নেয়া? প্রশ্নের জবাবে পরিচালক ও নির্মাতা শাহিন সুমন বলেন, আমার মনে হয়েছে এটি একটি অবাক করে দেয়ার মত গল্পও। আমার মনে হয়েছে এই গল্পটি নিয়ে আমি যদি সিনেমাটি তৈরি করি তাহলে দর্শকও আনন্দ পাবেন আর আমার জন্যও একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি আসলে গল্পটির প্রেমে পড়েই সিনেমাটি নির্মাণে হাত দিয়েছি।

সিনেমায় বাপ্পী-মিতু ছাড়াও অভিনয় করছেন সাবেরী আলম, মিশা সওদাগরসহ আরো অনেকে। গাজিপুরের হোতাপাড়ায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে সিনেমাটির প্রথম লটের শুট্যিং। কিশোর গঞ্জ ও চাঁদপুরে হবে বাকি লটের শুট্যিং। পরিচালক জানিয়েছেন নতুন বছরে মুক্তি পাবে কুস্তিগির।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply