চাচীর হাতে ভাতিজা খুন: মরদেহ থানায় নেয়ার পথে পুলিশের মৃত্যু

|

বগুড়া ব্যুরো

পারিবারিক কলহের জেরে জা-দেবরের একমাত্র সন্তানকে কুপিয়ে খুন করেছেন এক নারী। শুক্রবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেওলি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ফেরার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন এক পুলিশ সদস্য।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীদ মাহমুদ খান যমুনা নিউজকে জানান, শুক্রবার দুপুরে দেওলি ইউনিয়নের বোয়ালমারি গ্রামের হেলাল মিয়ার শিশুপুত্র সাকিব হাসান বাড়ির পাশের ফসলের ক্ষেতে যায়। অনেকক্ষণ তার কোন খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে গ্রামের একটি বেগুন ক্ষেতে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। এসময় সাকিবের চাচী শিউলি বেগমের শাড়িতে রক্তের দাগ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী ধারালো দা দিয়ে সাকিবকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। রাতে শিবগঞ্জ থানায় নিহত সাকিবের বাবা হেলাল মিয়া বাদী হয়ে শিউলিকে আসামী করে হত্যামামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে থানার ওসি (তদন্ত) আনিছুর রহমান জানান, মরদেহ ও আটক অভিযুক্তকে নিয়ে বোয়ালমারী গ্রাম থেকে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কেন্দ্রের পুলিশ কন্সটেবল একরামুল হক। পরে তিনি মারা যান। নিহত এই পুলিশ সদস্যের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চালাভাণ্ডার গ্রামে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply