পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে নির্যাতন, চুল ও ভ্রু কেটে নিলো স্বামী

|

সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবার বাড়ির স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে শারীরিক ক্ষত মিটলেও মানসিকভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। গৃহবধূর স্বজনরা এমন নির্যাতনের বিচার চেয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাড়াশ সদরের গুলনাহার পারভিন মিনু ও শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মেহেদি হাসান সুজন। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সব কিছু স্বাভাবিক নিয়মে চললেও হঠাৎ করেই মিনুর ওপর সন্দেহ করতে থাকেন স্বামী সুজন। সুজনের সন্দেহ, মিনু পরকীয়ায় জড়িয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই বছর খানেক ধরেই চলছে নির্যাতন। তবে গৃহবধূর অভিযোগ তার স্বামী সম্ভবত পরকীয়ার জড়িয়ে তার ওপর অত্যাচার করেন।

আরও পড়ুন: সিলেটে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

এরই মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর রাতে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্বামী সুজনসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে মিনুর ওপর নির্যাতন চালায়। এসময় মিনুর মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। এরপর ১৩ ডিসেম্বর একপর্যায়ে কেটে দেয়া হয় তার ভ্রুও।

এ নিয়ে নির্যাতিতার স্বামী সুজন জানান, তার স্ত্রীর পরকীয়ার বাধা দেয়ার কারণেই তাদের সংসারে অশান্তি। এ সময় তিনি তার স্ত্রীর মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেয়ার কথা স্বীকারও করেন।

নির্যাতিতার মা জানান, বিভিন্ন সময়ে মেয়ের উপরে নির্যাতন করে বাড়ি পাঠিয়ে আবার গ্রাম প্রধানদের সহায়তায় ক্ষমা চেয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন সুজন। কিন্তু এবার অমানবিক নির্যাতনে মিনু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মিনু কিছুটা সুস্থ হলেই মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে তার পরিবার থেকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply