সৌদির সিনেমা বাজার ধরতে চায় হলিউড

|

Mandatory Credit: Photo by AMEL PAIN/EPA-EFE/REX/Shutterstock (9435407k) Saudi women flash victory signs as they attend a concert of the New Orleans Marsalis Sextet during the country's first Jazz festival at the Intercontinental of Riyadh, Saudi Arabia, 22 February 2018. The Jazz festival started 22 February and is due to last three days. Shortly after announcing the building of the country's first Opera House in Jeddah on 22 February, the Saudi Entertainment General Authority announced that it plans to invest some 64 Billion USD in the entertainment sector over the coming decade. Concerts had been banned for about 20 years in Saudi Arabia. Saufi Arabia first Jazz festival, Riyadh, Saudi Arabia - 22 Feb 2018

৩৫ বছর পর হঠাৎ খুলে দেয়া হল দরজা। এখন সৌদি আরবে সিনেমা দেখা নিয়ে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হলো দেখবে কোথায়? সিনেমা হল তো নেই!

এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছেন হলিউডি ব্যবসায়ীরা। সৌদিতে সিনেমা হলসহ নানা ধরণের বিনোদন কেন্দ্র তৈরির তোড়জোড় ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। নামকরা বিনোদন সাময়িকী ভ্যানিটি ফেয়ার বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লাভের গুড় হাড়িতে ভরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা। কে কার আগে বাজার দখলে নেবেন।

ভ্যানিটি ফেয়ার জানাচ্ছে, ৩ কোটি সৌদি নাগরিকদের প্রায় সবাই আর্থিকভাবে উচ্চবিত্ত। আবার তাদের বেশিরভাগই বয়সে ২৫ বছরের চেয়ে কম। অর্থাৎ, সিনেমার মার্কেট হিসেবে একটি আদর্শ জায়গা হচ্ছে সৌদি আরব।

আমেরিকার ন্যাশনাল এসসিয়েশন অব থিয়েটার উনার্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন ফিথিয়ান বলেন, ‘বিশ্বের বিনোদন শিল্পের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এই বাজারটি বিশাল সম্ভাবনাময়। সৌদির বেশিরভাগ মানুষ তরুণ এবং তাদের হাতে ভালো পরিমাণ টাকা আছে। আর মুভির প্রতি তাদের বেশ আগ্রহও আছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই বছরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব সৌদি মার্কেট থেকে। তাদের ধারণা, ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সিনেমা মার্কেটের একটি হবে।

সিনেমাসিটি নামে একটি চেইন থিয়েটার কোম্পানির কর্মকর্তা করিম আতাসি বলেন, ‘বিশাল এই জনগোষ্ঠিওয়ালা দেশটিতে আসলে বিনোদনের কিছু নেই। ফলে সিনেমা হল খুলতে শুরু করলে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়বে।’

তবে বাজারে পুরোপুরি গতি আসতে এখনও তিন বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অবকাঠামো গড়ে উঠতে হবে। আগে যেসব সৌদি নাগরিক বিনোদনের জন্য প্রতিবেশি ওমান বা কাতারে যেতেন তারা এখন নিজের দেশেই অবসর কাটাতে পারবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply