মুশফিকের বিদায়ে ঘনীভূত ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা

|

ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই দিন বৃষ্টির পরেও ঢাকা টেস্টে হারের লজ্জার সামনে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৪৮ রানে রান আউট হলে ঘনীভূত হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া স্বাগতিকরা ফলোঅনে পড়ে ব্যাট করছে দ্বিতীয় ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৫ রান।

এর আগে, ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইনিংস মেরামত করতে লড়াই চালিয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে লিটন আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই দুই ইনফর্ম ব্যাটারের ৭৩ রানের জুটি। এরপর ব্যাট করতে নামেন সাকিব আল হাসান। পাল্টা আক্রমণে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। মুশফিকের সাথে জুটি গড়ে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানোর চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু সাকিব মিড উইকেটে সফট হ্যান্ডে খেলে তড়িঘড়ি রান নিতে গেলে ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করে মিস্টার ডিপেন্ডেবল। রিজওয়ান স্ট্যাম্প ভাঙার সময় ডাইভ দিয়ে মুশফিক পৌঁছে গেলেও ব্যাট ছিল বাতাসে। তাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিককে। সাকিব ব্যাট করছেন ৩১ রান নিয়ে। পাকিস্তানকে আবার ব্যাট করানোর জন্য বাংলাদেশকে আরও ৫৮ রান করতে হবে। তবে ম্যাচ বাঁচাতে হলে সাকিবকে দিনের বাকি সময়ের অনেকটা জুড়েই যে ব্যাট করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন: অধিনায়ক কামিন্সের তোপে ১৪৭ রানেই শেষ ইংল্যান্ড

এর আগে, মিরপুরে শেষ দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। ৭৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকরা অলআউট হয় ৮৭ রানে। যা টেস্টে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বনিম্ন রান। মিরপুরে দ্বিতীয় সেরা ৪২ রানে ৮ উইকেট নেন পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খান। ফলোঅনে পরেও ছবিটা বদলায়নি মুমিনুলদের। এবার পেসারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেন মাহমুদুল জয়, সাদমান, শান্তরা। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল। এরপর লিটন-মুশফিক ৭৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ৪৫ রান করে লিটন ও ৪৮ রান করে মুশফিক আউট হলে আবারও শঙ্কার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: পেলের রেকর্ড ভেঙে রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন মেসি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply