কুয়েটে প্রভোস্টের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না কেউই

|

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। এরইমধ্যে উপাচার্যের কাছে তারা পদত্যাগপত্র জমাও দিয়েছেন। এছাড়া বুধবারের (৮ ডিসেম্বর) মধ্যে ৫ দফা দাবি পূরণ না হলে অন্য পাঁচ হলের প্রভোস্ট ও সাত হলের সহকারী প্রভোস্টরাও পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন। অধ্যাপক প্রফেসর ডক্টর সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর কোনো শিক্ষকই প্রভোস্টের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না।

কুয়েটে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কল্যাণ কুমার হালদার ও ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ড. সেলিমের মৃত্যুর পর থেকে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, পাশাপাশি জীবননাশের শঙ্কায়ও ভুগছেন তারা। এছাড়া হলের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়েও আপত্তি আছে দুজনের।

প্রভোস্টরা জানিয়েছেন, সাতটি হল পরিচালনা নিয়ে ছাত্রলীগের কোন্দল চরমে। হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগ, ফ্লোর মনিটরিং ও ইন্টারনেটসহ আরও কিছু বিষয় থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করে নেতারা। আছে সিট বরাদ্দের বাণিজ্য। এসব নিয়েই মানসিক চাপে রাখা হয় প্রভোস্টদের। যার সবশেষ বলি শিক্ষক সেলিম হোসেন।

আরও পড়ুন : ছাত্রলীগের কোন্দলে হল বন্ধ, দুর্ভোগের দায় কেন নেবেন শিক্ষার্থীরা?

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি হল। এরমধ্যে প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন লালন শাহ হলের প্রভোস্টের দায়িত্বে ছিলেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply