বর্ণপ্রথার শিকার রাজন ও শান্তনার প্রেম

|

সুনামগঞ্জের রাজন-শান্তনা দুজনই সনাতন ধর্মাবলম্বী। এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ে করে ৭ মাসের ঘর-সংসার। কিন্তু বাঁধ সেধেছে জাতপ্রথা। বিয়ে মেনে নেয়নি কনেপক্ষ। তাদের দেয়া একাধিক মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে রাজনকে। সবশেষ এ নিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে রাজন-শান্তনা দম্পতিকে।

প্রেমের সম্পর্ক থেকে সাতপাঁকে বাধা পড়েছেন দিরাই উপজেলার কর্নগাঁওয়ের রাজন বিশ্বাস ও শান্তনা দেবনাথ। জাত প্রথার দেয়াল ভেঙে ৭ মাসের সংসার নিম্নবর্ণের এই দম্পতির। কিন্তু তাদের মতো জাতিভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি পরিবার। তাই দুজনেরই ঠাঁই হাসপাতালের বিছানায়।

শান্তনা জাতে নাথ আর রাজন নমশুদ্র। ছেলে-মেয়ের পছন্দের বিয়ে মেনে নেয়নি কনেপক্ষ। রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজনের পরিবারের এক সদস্য শান্তনার স্বজনকে আত্মীয় সম্বোধন করায় সংঘর্ষ বাধে তাদের মধ্যে। এতে আহত হয় রাজন-শান্তনাসহ অন্তত ২৫ জন।

আহতরা বলছেন, বিয়ে বা প্রেম অন্যায় কিছু নয়। তবুও যেন জাত প্রথা রাজন-শান্তনা দম্পতির সুখের সংসারে পথের কাঁটা।

নতুন অতিথি আসছে রাজন-শান্তনার ঘরে। অথচ এই জাতের ধোঁয়া তুলেই তাদের বিচ্ছেদ চাইছে একপক্ষ। দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে রাজনকে।

এসব বিষয়ে শান্তনার পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আকরাম আলী বলছেন, রাজন-শান্তনা দম্পতি নিরাপত্তা চাইলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তারা।

আরও পড়ুন : পরকীয়া প্রেমের জেরে নানাকে খুন করে নাতনী

বর্ণবাদ যেন ভালোবাসার চেয়ে বড় না হয়ে ওঠে, সেই চাওয়া রাজন-শান্তনা দম্পতির।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply